অপি করিমসহ এশিয়ান ফিল্মস কম্পিটিশন বিভাগের বিচারক যারা
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘এশিয়ান ফিল্মস কম্পিটিশন বিভাগের’ জুরিবোর্ড ঘোষণা করেছে আয়োজকরা। এবার বিচারকের আসনে অভিনেত্রী অপি করিমের সঙ্গে আছেন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত পাঁচজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসরের ‘এশিয়ান ফিল্মস কম্পিটিশন বিভাগের’ জুরিবোর্ডে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের শোবিজের আলোকিত ব্যক্তিত্বরা। তাদের মধ্যে আছেন নরওয়ের প্রযোজক ইনগ্রিড লিল হগটুন, বাংলাদেশের অভিনেত্রী, ও স্থপতি সৈয়দা তুহিন আরা করিম (অপি করিম), ইতালির প্রযোজক ও পরিবেশক লিডিয়া জেনচি, মালয়েশিয়ার মিডিয়া নির্বাহী ও কনটেন্ট কৌশলবিদ টেং লি ইয়িন, এবং তুরস্কের পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেইস চেলিক।
জামাল বলেন, ‘এবারের উৎসবে এশিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেকর্ডসংখ্যক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে, যা এই উৎসবের ইতিহাসে অন্যতম বড় সাড়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বিপুল সাড়া নিয়ে আমরা আয়োজনটিকে আরও আন্তর্জাতিক পরিসরে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে এই উৎসব।
সিনেমার এই উৎসব বসছে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারিতে, চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারে ৭৫টি দেশের পূর্ণ ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ২৫০টি সিনেমা দেখানো হবে উৎসবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সিনেমা আছে ৬৭টি।
বরাবরের মত এবারও উৎসবে থাকছে ১০টি বিভাগ। তা হল-এশিয়ান সিনেমা সেকশন, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, বাংলাদেশ প্যানোরমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস, উইমেন ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মস।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন-এই তিন ভ্যেনুতে সিনেমাগুলো দেখানো হবে।
উৎসবের ২৪তম আসরে 'চাইনিজ ফিল্ম উইক' নামে চীনা চলচ্চিত্রের ১২০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলিয়ে দেশটির ১৫টি সিনেমা দেখানো হবে উত্সবে।
এছাড়া উৎসবে চতুর্থবারের মত থাকবে মাস্টারক্লাস। ভিন্ন দেশের তিনজন স্বনামধন্য নির্মাতা আসবেন এই মাস্টারক্লাস নিতে।
১৯৯২ সাল থেকে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ করছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ। চলচ্চিত্র বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘সেলুলয়েড’ প্রকাশনার পাশাপাশি নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার ও শুদ্ধসংগীত আসর আয়োজনও করে তারা।
এমআই/এলআইএ