পাঁচ মাসে জন্ম নেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে প্রিম্যাচিউর বেবি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১

২০২০ সালের জুলাই মাসে জন্ম বিশ্বের সবচেয়ে প্রিম্যাচিউর বেবির। মায়ের গর্ভে মাত্র পাঁচ মাস (২১ সপ্তাহ) কাটানোর পরই পৃথিবীর আলো দেখে সে। নাম কার্টিস মিনস। জন্মের সময় তার ওজন ছিল মাত্র ৪২০ গ্রাম।

তবে সুখের খবর হচ্ছে বর্তনামে তার বয়স ১৬ মাস। দিব্যি সুস্থভাবে হেসে খেলেই বড় হচ্ছে কার্টিস। এ কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় সবচেয়ে অপরিণত নবজাতক হিসেবে নাম উঠেছে তার।

কার্টিসের মায়ের গর্ভকালীন সময়ের নানা সমস্যা ছিল। যে কারণে ৪ জুলাই জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মিশেল বাটলার জন্ম দেন যমজ সন্তানের। কার্টিস বেঁচে গেলেও জন্মের পরই মারা যায় আরেকজন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে দ্রুত বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনমাস ভেন্টিলেশনে ছিল কার্টিস। হাসপাতালে দীর্ঘ ২৭৫ দিন কাটানোর পর চলতি বছরের এপ্রিলে ঘরে ফেরে কার্টিস।

jagonews24

সাধারণত গর্ভধারণের ৪০ সপ্তাহ পর সন্তানের জন্ম হয়। এদিক দিয়ে হিসাব করলে কার্টিসের জন্ম হয়েছে সময়ের ১৯ সপ্তাহ আগেই। সাধারণত সময়ের এত আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, তাদের জানামতে সময়ের এত আগে আর কোনো শিশু জন্ম নেওয়ার পর বেঁচে থাকেনি।

কার্টিসের আরও তিন ভাইবোন রয়েছে। বয়সে তারা সবাই বড়। কার্টিসকে এখনো আলাদাভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। খাবার খাওয়াতে প্রয়োজন পড়ে নলের। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, তার স্বাস্থ্য ভালো আছে। কার্টিস জন্ম নেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক ব্রিয়ান সিমস। তিনি ইউনিভার্সিটি অব আলাবামার একজন শিশু বিশেষজ্ঞ।

jagonews24

সিমস বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করছি। এত কম সময়ে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুকে কার্টিসের মতো শক্ত থাকতে দেখিনি। তার মধ্যে বিশেষ কিছু ছিল।

কার্টিসের আগে সবচেয়ে কম সময় গর্ভে থাকার পর জন্ম নেওয়া শিশুর রেকর্ড ছিল যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিসের রিচার্ড হাচিনসনের। তার জন্ম হয় মাত্র ২১ সপ্তাহ দুই দিনের মাথায়। সে এখন অন্য দশটি বাচ্চার মতোই বড় হচ্ছে।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।