শেখ মনির জন্ম ও কবি ওমর খৈয়ামের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

০৪ ডিসেম্বর ২০২২, রোববার। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কবি ওমর খৈয়াম
ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। ১০৪৮ সালের ১৮ মে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। যুবা বয়সে তিনি সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর বুখারায় নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইরান ও পারস্যের বাইরে ওমর খৈয়াম সবচেয়ে বেশি পরিচিত কবি হিসেবে। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্বসাহিত্যে শীর্ষস্থানীয় তিনি। তার কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রূবাইয়াত’-এর জন্য বিখ্যাত বিশ্বে। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তার গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে বলে মনে করেন অনেক ইতিহাসবিদ। ধারণা করা হয়, রেনে দেকার্তের আগে তিনিই বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য ও বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। জ্যোতির্বিদ্যায় তার অবদান অসামান্য। মধ্যযুগের মুসলিম মনীষা জামাকসারি ওমর খৈয়ামকে ‘বিশ্ব দার্শনিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ১১৩১ সালের ৪ ডিসেম্বর ইরানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

শেখ ফজলুল হক মনি
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিববাহিনীর অধিনায়ক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম শেখ নূরুল হক বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি। মা শেখ আছিয়া বেগম বঙ্গবন্ধুর বড় বোন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৭২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন। শেখ ফজলুল হক মনি ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রসন্তানের জনক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রী বেগম আরজু মণি শাহাদত বরণ করেন।

ঘটনা
১৮২৯- লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে দেন।
১৮৩৩- আমেরিকায় দাসপ্রথা বিরোধী সংগঠন গড়ে ওঠে।
১৮৯৯- প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্য এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার করা হয়।
১৯৫৩- শেরে বাংলা, ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন।
১৯৯০- গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের ৯ বছরের প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা।

জন্ম
১৮৮৮- ভারতের বাঙালি অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার।
১৮৯৩- ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৫- বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক কাজী আবদুল বাসেত।
১৯৮৩- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা কাজী মারুফ।
১৯৯১- অস্ট্রেলিয়ার ১ পয়েন্ট হুইল চেয়ার বাস্কেটবল খেলোয়াড় সারাহ ভিঞ্চি।

মৃত্যু
১৯৮৯- পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান।
২০০০- ইংরেজ ক্রিকেটার ও অধিনায়ক কলিন কাউড্রে।
২০১৭- বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুর।
২০১৯- সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক, কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ও তিন দশক ধরে ধারাভাষ্যকার বব উইলিস।

দিবস
বাংলাদেশ জাতীয় বস্ত্র দিবস।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।