সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি কেন নয়?

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩

মু. মাহবুবর রহমান

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং পূজার ছুটির পরিমাণ একই রকম ও একই সময়ে হয় না। ফলে পরিবারের সবাই একসঙ্গে এ ছুটি ভোগ করতে পারেন না।

এক ব্যক্তি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তার স্ত্রী মাদ্রাসার শিক্ষক। এক ছেলে হাইস্কুলে পড়ে। এক মেয়ে কলেজে পড়ে। গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন বা ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে চায়। কিন্তু তা কোনোক্রমেই সম্ভব হয় না। কারণ একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ।

কেন একই ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন বা শীতকালীন ছুটি ভিন্ন রকমের ও ভিন্ন সময়ে হয়? গ্রীষ্মকাল বা শীতকাল বা ঈদ কি একেক প্রতিষ্ঠানে একেক সময়ে আসে? সারাদেশে ভিন্ন সময়ে তো গ্রীষ্মকাল, শীতকাল বা ঈদ আসে না।

এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি হাইস্কুলের ০৯ দিন ও গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ হাইস্কুলের ১১ দিন আর প্রাথমিকে মাত্র ০৩ দিন।

বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, একই ক্যাম্পাসে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরিচালিত হয়; তারা ৭৬ দিন, মাদ্রাসা ৬০ দিন, কলেজ পর্যায়ে ৭১ দিন আর পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা ৫৪ দিন ছুটি ভোগ করবে।

কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সব বিষয়ে এত বৈষম্য? কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদ, পূজার এবং অন্য সব প্রকার ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা সময়ের দাবি।

কিশোর-কিশোরীদের নৈতিক অবক্ষয় রোধে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে পরিবারের সঙ্গে থাকা আবশ্যক। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি হওয়া আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিন্ন ছুটিতে সরকারের কোনো বাড়তি অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।

লেখক: সহকারী শিক্ষক, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।