১১ বছর ধরে ঘুমান না তিনি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঘুম মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। চিকিৎসকরা সব সময় পরামর্শ দেন, সুস্থ থাকতে রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। রাতের একটি ভালো ঘুম আপনাকে সারাদিন কাজের শক্তি জোগাবে। মন প্রফুল্ল রাখবে, সেই সঙ্গে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা তো আছেই।

তবে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যার ভোগেন। রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেন। নানান শারীরিক সমস্যার কারণে অনিদ্রায় রাত কাটান। তবে তা কতদিন হতে পারে, ৭ দিন বা ১০ দিন। তবে ভিয়েতনামের ৩৬ বছর বয়সী মিসেস ট্রান থি লু ১১ বছর ধরে ঘুমান না।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলছেন থি লুয়ের দাবি সত্যি না। এত বছর না ঘুমিয়ে একজন মানুষ কিছুতেই ঘুমাতে পারেন না। তবে থি লু এবং তার পরিবারের দাবি তিনি সত্যিই ১১ বছর ধরে ঘুমাননি এক ফোটাও। অনেক চেষ্টা করেছেন ঘুমানোর কিছু ব্যর্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নিজের সন্তান হত্যা করে খেয়ে ফেলে যেসব প্রাণী

একবার চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন লু। তবে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তার শরীরে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অসহ্য ব্যথা। হাঁটতে পারতেন না ঠিকমতো। তারপরও সেই ওষুধ খেয়েছেন কিন্তু ঘুমাতে পারেননি।

লুয়ের এই সমস্যা শুরু হয় ১১ বছর আগে। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই তার চোখ থেকে পানি পড়তে শুরু করে। যা কিছুতেই থাকছিল না। চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল একসময়, তবে ঘুম আসছিল না তার। সেই থেকে শুরু, এরপর কেটে গেছে ১১ বছর। এখনো ঘুমাতে পারেন না লু।

লু বলেন, তার এই কথা অনেকটা পাগলের প্রলাপের মতোই মনে হতে পারে অনেকের। তবে এটি সত্যি যে তিনি ১১ বছর ধরে ঘুমাতে পারছেন না। এজন্য তার চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল পরেছে। এমনকি চোখের পাশের চামড়া কালো হয়ে গিয়েছে। পুরো মুখেই বিভিন্ন দাগে ভরে গেছে।

লু মনে করেন তার এই অনিদ্রা সমস্যা হয়েছে তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে। যেমন তার হাড়ের সমস্যা এবং পেটে ব্যথার সমস্যা রয়েছে। এগুলোর জন্য তার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা তার এই সমস্যার এখনো কোনো কারণ বের করতে পারেননি।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।