আজকের এই দিনে

মমতাজ মহলের প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩

মুঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী ছিলেন মমতাজ মহল। ভারতের আগ্রায় ১৫৯৩ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পারস্যের মহানুভব আবদুল হাসান আসাফ খান, যিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূর জাহানের ভাই। তার মা ছিলেন দিওয়াঞ্জি বেগম।

তার আসল নাম ছিল আরজুমান্দ বানু বেগম। আরজুমান্দ ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী। তিনি কলা এবং অন্যান্য বিদ্যা শিখেছিলেন ছোটবেলায়। যুবরাজ খুররম অর্থাৎ সম্রাট শাহজাহানের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় বাজারে একটি হীরা মুক্তার দোকানে। আরজুমান্দ একটি কাচের টুকরা কে মজার ছলে হিরে বলেছিলেন। আর যুবরাজ খুররম বিশাল মূল্য দিয়ে সেই কাচের টুকরোটি কিনে নেন। প্রথম দেখাতেই খুররম মমতাজকে ভালোবেসে ফেলেন। খুররম বাড়িতে গিয়ে তার বাবার কাছে জানিয়ে দেন আরজুমান্দকে তিনি বিয়ে করতে চান।

বিজ্ঞাপন

১৬১২ সালের ৩০ এপ্রিল খুবই ধুম ধামের মধ্যে দিয়ে খুররম ও আরজুমান্দের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর সম্রাট শাহজাহান আরজুমান্দকে ‘মমতাজ মহল’ উপাধি দেন। যার অর্থ মহলের সবচেয়ে দামি রত্ন। সম্রাট হওয়ার পর শাহজাহান আগ্রা ফোর্টে মমতাজের জন্য একটি মহল তৈরি করে দেন যার চার দেয়াল ছিল হীরা ও বহুমূল্য রত্ন দিয়ে তৈরি।

শাহজাহান তাকে এতটাই বিশ্বাস করতেন যে সম্রাট হওয়ার পর শাহী সিলমোহর মমতাজের কাছেই রাখতেন। যা রাজকীয় আদেশ জারী করার জন্য ব্যবহার করা হত। মমতাজ বেগম ছিলেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী । মমতাজ মহল একজন দক্ষ কবি এবং দক্ষ ধনুকবিদ ছিলেন। মমতাজ বেগম এত টা সুন্দরী রুপবতী ছিলেন যে, তার অপরুপ সৌন্দর্য বিভিন্ন কবিরা তাদের কবিতায় মাধ্যমে উল্লেখ করে গেছেন। মমতাজ মহল ঘুরে বেড়াতে বেশ পছন্দ করতেন এবং শাহজাহানও তাকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে চাইতেন না। হাতির লড়াই দেখতে খুব ভালবাসতেন মমতাজ মহল। তাই তিনি সকল যুদ্ধে শাহজাহানের সঙ্গে যেতেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মমতাজ মহল ১৬৩১ সালের ১৭ জুন বুরহানপুরে মারা যান। মমতাজ মহলের মরদেহ তাপ্তি নদীর তীরে জোয়নাবাদ নামক বাগানে কবর দেওয়া হয়। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন সম্রাট। মমতাজের স্মৃতিতে এক অকল্পনীয় সুন্দর মহল তৈরি করেন আগ্রায়। যা তাজমহল নামে পরিচিত। এই মহল তৈরি হতে সময় লেগেছিল ২২ বছর। তাজমহল তৈরি হওয়ার পর মমতাজের কফিন তাজমহলের প্রধান গম্বুজ এর নিচে কবর দেওয়া হয়।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।