অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক যেভাবে ক্ষতি করে শরীরের

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

দেড় বছর আগে কানে ইনফেকশন হয়েছিল সামিনা ইয়াসমিনের। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন তিনি। ডাক্তার ৫ দিনের কোর্স দিলেও তিনদিন পর ভালোবোধ করায় ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন তিনি। এর ফলে দেড় মাস পর আবার কানে ব্যথা শুরু হয়। এরপর তিনি নিজে নিজেই ঐ একই ওষুধ কিনে খেতে থাকেন। দুই-এক মাসের জন্য সুস্থ থাকলেও আবারও ফিরে আসে কানের ব্যথা।

ইয়াসমিন জানান, এরপর ডাক্তারের কাছে গেলে আগের চেয়ে বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় এবং বলা হয়, আগের ওষুধ শরীরে রোগ-প্রতিরোধে আর কাজ করছে না।

শরীরের কী ক্ষতি হয়?
বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান। আবার অনেকে নির্দিষ্ট কোর্স শেষ করেন না। এতে কী ক্ষতি হয় শরীরের?

হলি ফ্যামিলি কলেজ এবং হাসপাতালের নাক, কান গলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশন যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর এসবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা উচিত নয়। তবে যদি ইনফেকশন বা সংক্রমণ দ্বিতীয় পর্যায়ে যায় তখন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের মূল লক্ষ্য হলো রোগের জীবাণু একদম মেরে ফেলা। চিকিৎসক একজন রোগীর অবস্থা বুঝে ৫ থেকে ৭ দিনের কোর্স দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেউ যদি সেই সময়ের আগে (দুই-দিন খেয়ে আর না খাওয়া) খাওয়া বাদ দিলে পরে ঐ অ্যান্টিবায়োটিক ঐ রোগীর শরীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে। তখন ঐ রোগীর জন্য আগের চেয়ে বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয়।

মানুষের শরীরের অ্যান্টিবায়োটিকের অতি ব্যবহার বা কোর্স শেষ না করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে দিতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়।

ডা. জাকারিয়া বলেন, এমনিতেই বাতাসে নানা ধরনের জীবাণু, ভাইরাস থাকে। সেগুলো প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। যেকোনো রোগে সহজেই আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত খুব সিরিয়াস অবস্থা না হলে চিকিৎসকদের অ্যান্টিবায়োটিকের নির্দেশনা দেয়া ঠিক না। সূত্র : বিবিসি

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।