টিকা নিতে ভোর থেকে দীর্ঘ সারি
ব্যাপক পরিসরে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করছে সরকার। এ লক্ষ্যে আজ শুক্রবারও (২৫ ফেব্রুয়ারি) সব টিকাদান কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। গণটিকা কার্যক্রম শুরুর আগেই আজ সকাল থেকে রাজধানীর পূর্ব রামপুরা হাইস্কুলে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই এসেছেন ফজরের নামাজের পরপরই।
সরেজমিনে কয়েকজন টিকা নিতে আগ্রহীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অধিকাংশই প্রথম ডোজ টিকা নেননি। আইডি কার্ড জটিলতাসহ নানা ধরনের জটিলতার কথা বলেছেন তারা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকা নিতে কোনো ধরনের নিবন্ধন, জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট কিংবা পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে না- এ খবরে এখন টিকা নিতে এসেছেন অনেকেই।
টিকা নিতে আসা সেলিনা বেগম বলেন, ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় আগে টিকা নিতে পারিনি। এখন নাকি আইডি কার্ড ছাড়া টিকা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
লাইনের প্রথম দিকে থাকা কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা ফজরের নামাজের পরপরই এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল এ কেন্দ্রে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় অনেকে টিকা পায়নি। এজন্য তারা আগেভাগেই এসেছেন।
এদিকে আজ (শুক্রবার) টিকার কার্যক্রম চলার ঘোষণা থাকলেও টিকা দেওয়া হবে কি না এ নিয়ে অধিকাংশের মধ্যে ছিল সংশয়। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে টিকা প্রদানকারী কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
লাইনে দাঁড়িয়ে মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ টিকা দেওয়া হবে সেটা আমরা খবরে শুনেছি। কিন্তু এখানে কেউই নাই। বুঝতে পারছি না টিকা দেওয়া হবে কি না।
গত কয়েকদিন থেকেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রথম ডোজের টিকা নিতে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে স্রোতের মতো নানা বয়সী নারী ও পুরুষরা ছুটে আসছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে- এমন খবরে প্রতিটি কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে।
বর্তমানে যারা টিকা নিতে আসছেন তাদের নাম, বয়স, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের টিকা নিতে মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে এক কোটি জনসংখ্যাকে প্রথম ডোজের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস