এক সপ্তাহে করোনায় ৬৮ মৃত্যু, ৫০ জনই নেননি টিকা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ জন ও নারী ২৮ জন। সর্বমোট মৃত ৬৮ জনের মধ্যে ৫০ জনই অর্থাৎ ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ টিকা গ্রহণ করেননি। অবশিষ্ট মাত্র ১৮ জন অর্থাৎ ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ টিকা গ্রহণ করেন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা গ্রহণকারী ১৮ জনের মধ্যে প্রথম ডোজের ৩ জন, দ্বিতীয় ডোজের ১৪ জন এবং তৃতীয় ডোজের ১ জন টিকা নেন।
এপিডেমিওলজিক্যাল ৮ম সপ্তাহ (২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ৬৮ জনের মধ্যে কো-মরবিডিটিতে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা) ৪১ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুজন ও নারী দুজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে তিনজন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান একজন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮৯৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ২৪ হাজার ৮৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২৪ হাজার ৬০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৪ লাখ এক হাজার ৩৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন সাত হাজার ৯৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৫ জন।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের দুজন, চট্টগ্রামের একজন, খুলনার একজন। রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশালে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন একজন
২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এমইউ/এমএইচআর/এএসএম