টানা দ্বিতীয় দিন করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ১১ শতাংশ ছাড়ালো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২১ জুন ২০২২
ফাইল ছবি

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে টানা দ্বিতীয় দিন মৃত্যুর খবর এলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ জনে। এসময়ে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

গত ৩০ মে করোনায় সবশেষ একজনের মৃত্যুর টানা ২০ দিন পর গতকাল সোমবার ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় মঙ্গলবারও আরও একজন যুক্ত হলেন।

২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭৪ জন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির (৮৯৭ শনাক্ত হয়েছিল) পর এটিই দৈনিক শনাক্তের দিক থেকে সর্বোচ্চ। দেশে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জনে। চার মাসেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারির পর দৈনিক শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১১ শতাংশ।

গতকাল সোমবার ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমিত হয়েছিলেন ৮৭৩ জন। শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর আগের দিন গত রোববার এ হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

একদিনে শনাক্ত ৮৭৪ রোগীর মধ্যে ৭৯০ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। মারা যাওয়া ব্যক্তির (পুরুষ) বয়স সত্তরোর্ধ্ব, তিনিও ঢাকা বিভাগের।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। এ নিয়ে মোট ‍সুস্থ হওয়া রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫ হাজার ৯৮৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৮৯৩টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৯২৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।

গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.৪/৫ (BA.4/5)। বাংলাদেশি দুজনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। যাদের একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং অন্যজনের ৭৯ বছর।

নতুন উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অন্যজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, অন্যজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।