টাকা দিচ্ছে না সরকার, কিডনি ইনস্টিটিউটে বন্ধ হতে পারে ডায়ালাইসিস

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোরের বকেয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে জটিলতা কাটেনি। এর জেরে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রোববার জাতীয় কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (নিকডু) ডায়ালাইসিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে তা আবার চালু হয়। তবে স্যানডোর সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (সোমবার) ডায়ালাইসিস একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিডনি ইনস্টিটিউটে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু থাকে। সরকারের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর পরিচালনা করে ডায়ালাইসিস সেন্টারটি।
রোববার সকালে সাধারণ দিনের মতো রোগীরা সেন্টারে এলে স্যানডোর কর্তৃপক্ষ ডায়ালাইসিসের জন্য কাঁচামালের সংকটের কথা জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। এতে দীর্ঘ অপেক্ষার ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
আরও পড়ুন: চমেকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
নীলফামারী থেকে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে আসা মুহাম্মদ খুরশেদ কামাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এখানে ডায়ালাইসিস নিচ্ছি। প্রতি সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস নিতে হয়। ডায়ালাইসিসের তারিখ ও সময় পূর্বনির্ধারিত থাকে। সে অনুযায়ী সকাল ৮টার আগে আসি। তখন সরঞ্জাম নেই জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম।’
স্যানডোর বলছে, বর্তমানে সরকারের কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনা। এতে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
কিডনি ইনস্টিটিউটে স্যানডোরের ব্যবস্থাপক মো. নিয়াজ খান বলেন, কাঁচামালের সংকট থাকায় সরকারের কাছে পাওনা টাকার জন্য একাধিকার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সাড়া পাচ্ছি না। টাকা না পেলে আগামীকাল সেবা আবারও বন্ধ রাখার আশঙ্কা বেশি।
আরও পড়ুন: কিডনি রোগের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, শুনেছি ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দিয়েছিল, পরে চালু করেছে। স্যানডোরের চুক্তি হাসপাতালের সঙ্গে নয়, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। তারা সেখানে যোগাযোগ করুক। ডায়ালাইসিস বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।
এর আগে গত বছর জাতীয় কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি ইনস্টিটিউট (নিকডু) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল স্যানডোর। এবারও একই পথে কোম্পানিটি।
এএএম/এমএইচআর/জেআইএম