আসন্ন বাজেটে তামাকে অধিক হারে করারোপ দাবি
নারী-শিশু ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তথা জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অধিক হারে কর আরোপের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংহতি প্রকাশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে।
পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ করে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে সন্তান জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাওয়া কিংবা মৃত সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনকি মায়ের বুকের দুধও হ্রাস পায়।
তারা জানান, শুধু নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই নয়, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অধিক হারে করারোপের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত করা যাবে এবং প্রায় ৫ লাখ তরুণ-তরুণী অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও, কার্যকর করারোপের মাধ্যমে বাড়তি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বক্তারা জানান, বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে ২০ কোটি নারী। প্রতি বছর প্রায় ২২ কোটি নারী তামাক সেবনের কারণে মারা যান। এদের মধ্যে ৭১ শতাংশেরও বেশি নারী বাংলাদেশের মতো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে বাস করেন। এসব অঞ্চলে তামাকজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।
বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি তামাকের কারণে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, স্বাস্থ্য খাতের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’র লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমানসহ টিসিআরসি ও ডব্লিবিবি ট্রাস্টের প্রতিনিধি।
টিটি/এমকেআর/এমএস
