নারীর ক্ষমতায়ন বাড়লে কমবে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৩

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশে নারীর ক্ষমতায়ন যথাযথভাবে করা গেলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কিংবা বাল্যবিয়ে অনেকাংশেই কমে আসবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থাও উন্নয়ন ঘটবে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংগঠন পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ভেভেলপমেন্টের (পিপিডি) ৩৮তম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

পিপিডির সদস্য দেশ হিসেবে দক্ষিণ-দক্ষিণ আঞ্চলিক উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গত ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়। আয়োজক দেশ হিসেবে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে দারিদ্র্য কমাতে সদস্য দেশগুলোর এক হয়ে কাজ করতে হবে। নারীর জন্য কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে কাজ করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন যথাযথভাবে করা গেলে মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার কিংবা বাল্যবিবাহ অনেকাংশেই কমে আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের স্বাবলম্বী করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও বর্তমানে ৬৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারও নারী।

তিনদিনব্যাপী চলা এ বৈঠকে দক্ষিণ-দক্ষিণ আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহের উন্নয়নশীল ২৭টি সদস্য দেশের সংগঠন পিপিডি আন্তঃরাষ্ট্রীয় পারস্পরিক উন্নয়নের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে। সদস্য দেশগুলো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসবে বলে বৈঠকে একমত পোষণ করা হয়।

সভায় সদস্য দেশগুলোতে সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে নির্বাহী সদস্যরা আলোচনা করেন।

আলোচনায় সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।

এএএম/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।