মুর্শিদাবাদে সহিংসতার ঘটনা পরিকল্পিত: মমতা ব্যানার্জী

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ০৫ মে ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সহিংসতার ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সোমবার (৫ মে) বহরমপুর জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যারা দাঙ্গা করে তাদের আমি দুষ্কৃত মনে করি। আমার কাছে হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিষ্টান সব এক।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, এই জেলায় আমি দেখছি বহিরাগত কিছু লোক এসে ধর্মের নামে বিধর্মী কথাবার্তা বলে। আমি কোনো কমিউনিটিকে দোষ দেবো না। কয়েকজন ধর্মীয় নেতা তারা পালে বাঘ না পরলেও বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করে। রাজনৈতিক ফয়দা নেয়। তারাই কিন্তু দাঙ্গা ঘটিয়ে সব থেকে আগে পালিয়ে যায়। তারা বাংলার শত্রু। মুর্শিদাবাদের একটা ইতিহাস আছে, এক সময় মুর্শিদাবাদ বাংলার রাজধানী ছিল। মুর্শিদাবাদ জেলায় দুটি জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারা করিয়েছেন প্ল্যান করে, কীভাবে করিয়েছে, কেন করিয়েছে, আমি একটা দিন খোঁজ নিয়ে দেখেছি। দু-তিনজন লোক আছে যারা এই গণ্ডগোল পাঁকাচ্ছে। তারা নাকি বিরাট বিরাট ধর্মীয় নেতা। ধর্মের নামে বিধর্মী নেতা। আর আর্থিক উৎস বিজেপির নেতাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে দিতে পারবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি পরিষ্কার বলছি এই টোটাল সত্য তথ্য। আরও কিছু তথ্য পেয়ে গেলে, প্রেসের সামনে আসবে। কারা করেছে, কীভাবে প্ল্যান করে করেছে। আমি নিজে হিন্দু পরিবারের সন্তান। আমার কাছে হিন্দু-মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টান সব সমান।

এরপর কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পরের দিনই মানবাধিকার কমিশন চলে এলো। মনিপুরে তো যায়নি, দুই বছর ধরে গণ্ডগোল হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থান, উড়িষ্যা, বিহারে যায়নি। দিল্লির দাঙ্গায় এত লোক মারা গেছে সেখানেও তো একবার যায়নি। হঠাৎ কি হলো? পরের দিনই। একেবারে প্ল্যান করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এরপর পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, আপনারা কেন আমাদের লোকেদের ধরে মারছেন। আমার কাছে খবর আছে উড়িষ্যায় বাংলায় কথা বললেই তাকে ধরে মারা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে, বিহারে, উত্তরপ্রদেশে হয়েছে। আপনারা অত্যাচার করছেন বলে আমরা কিন্তু করবো না। এটাই আপনাদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ।

সেই সঙ্গে এই নিয়ে রাজনীতি করার লোকদের তিনি সতর্ক করে বলেন, হিংসার কোনো ওষুধ আছে? নেই, দয়া করে শকুনি মামা হবেন না। যারা দাঙ্গা করেছেন তারা বুঝে রাখুন আপনারা করছেন দাঙ্গা, গালাগাল খাচ্ছি আমি।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।