জাপানের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ০১ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প/ ছবি: এএফপি

জাপান যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত চাল কিনতে ‘অনিচ্ছুক’- এমন অভিযোগ তুলে দেশটির রপ্তানি করা পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, তারা আমাদের চাল নেয় না, অথচ নিজেরাই চালের সংকটে ভুগছে।

তিনি আরও লেখেন, এবার তাদেরকে (জাপান) চিঠি পাঠানো হবে, যদিও আমরা বহু বছর ধরে দেশটিকে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে পছন্দ করে আসছি।

তবে ট্রাম্পের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর বাণিজ্য পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ২৯৮ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করেছে জাপান। শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যেই তারা ১১৪ মিলিয়ন ডলারের চাল কিনেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

এমন প্রেক্ষাপটে জাপান আসলে ভবিষ্যতে চাল আমদানি বন্ধ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে টোকিও জানিয়েছে, বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি মঙ্গলবার বলেন, আমরা মার্কিন পক্ষের মন্তব্য সম্পর্কে অবগত আছি। কিন্তু চলমান আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে আমরা বিরত থাকবো।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সুবিধাজনক চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যেই জাপান আন্তরিক ও সৎ আলোচনার পথে এগোবে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের দাবি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে চাল আমদানির প্রক্রিয়া অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও অস্বচ্ছ, যার ফলে মার্কিন চাল রপ্তানিকারকদের সেখানে কার্যকর বাজার প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে চাল, গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের উপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপের একটি পরিকল্পনা সামনে এনেছে। এপ্রিল মাসে ঘোষিত এই পরিকল্পনার ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই।

এই সময়সীমার পর কী হবে তা স্পষ্ট নয়, তবে ট্রাম্প এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন করে আবারও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রিয় জাপান, এবার গল্পটা হলো- তোমরা তোমাদের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে।

এর আগে জাপানি রপ্তানির উপর সর্বনিম্ন ২৪ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল, তবে শুল্ক বিরতির আওতায় তা ১০ শতাংশে নেমে আসে।

হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল পরিচালক কেভিন হ্যাসেট সোমবার বলেন, সবকিছু এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আলোচনার দরজা খোলা আছে। আমরা একটা কাঠামো পেলেও, সেখানে চূড়ান্ত করার মতো বিষয় থাকবে।

সূত্র: সিএনএন

এসএএইচ/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।