শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার/ ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যের সব শিক্ষার্থীকে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে এই আহ্বান জানান তিনি।

স্টারমার বলেন, এই দিনে বিক্ষোভ আয়োজন করা ‘অব্রিটিশ আচরণ’ ও অতীতে কিছু মানুষ ৭ অক্টোবরের ঘটনাকে ব্রিটিশ ইহুদিদের ওপর হামলার জন্য জঘন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে।

লেখা এক নিবন্ধে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত লন্ডনের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে যৌথ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ম্যানচেস্টার, গ্লাসগো, এডিনবরো ও ব্রিস্টল শহরেও একইভাবে বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার টাইমস পত্রিকার একটি নিবন্ধে স্টারমার লেখেন, ৭ অক্টোবর আবারও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে। এটি আমাদের দেশের মানসিকতার প্রতিফলন নয়। অন্যের প্রতি এতটা অসম্মান দেখানো ‘অব্রিটিশ’। তার ওপর কেউ কেউ আবার ইহুদিদের প্রতি ঘৃণার স্লোগান দিতে শুরু করে- এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

স্টারমার জোর দিয়ে বলেন, যারা ইহুদি সম্প্রদায়ের ক্ষতি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য সব সময় দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের রাস্তায় ইহুদিবিদ্বেষ বা অ্যান্টিসেমিটিজম বেড়ে গেছে। আমাদের ইহুদি সম্প্রদায়ও আমাদের দেশ ও রাস্তায় বাড়তে থাকা ইহুদিবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের নেতা কেমি ব্যাডেনক সতর্ক করেছেন, এই বিক্ষোভ যেন ‘ঘৃণার মিছিল’ না হয়ে ওঠে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) লন্ডনের কেন্দ্রীয় এলাকায় ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির পক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভে প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেফতার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ।

গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টারের এক সিনাগগে প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে দেশজুড়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সিনাগগ হামলার পর সরকার ও পুলিশ বিক্ষোভ স্থগিত রাখার আহ্বান জানালেও, শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামে।

উল্লেখ্য, স্টারমারের সরকার গত মাসে আন্তর্জাতিক চাপে গাজা যুদ্ধের অবসান দাবির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলে পরিচালিত হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন ও ২৫১ জনকে জিম্মা করা হয়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।