যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বারঘুতিকে মুক্তির প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
মারওয়ান বারঘুতি/ ছবি : এএফপি

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারঘুতির মুক্তির দাবি উঠেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ হিসেবে বারঘুতির মুক্তির দাবি তুলেছেন গ্রিন পার্টির এমপি এলি চাউনস।

বারঘুতিকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরা হয়।সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বন্দি বিনিময়ের তালিকায় থাকা সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি ছিল বারঘুতির নাম। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় শেষ মুহূর্তে একতরফাভাবে তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) পার্লামেন্টে বক্তব্যে এমপি চাউনস বলেন, ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য মারওয়ান বারঘুতি ২০০২ সাল থেকে অন্যায্যভাবে বন্দি রয়েছেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমি জানতে চাই—গত কয়েক দিনে তার সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে বারঘুতির অবিলম্বে মুক্তির জন্য, যিনি ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম এবং যিনি অঞ্চলে একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

এর জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, মাননীয় সদস্যকে ধন্যবাদ বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে তাকে বিস্তারিত তথ্য জানাব।

১৯৫৯ সালে রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্ম নেওয়া বারঘুতি ফিলিস্তিনি রাজনীতির মুখ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০০২ সালে বারঘুতিকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পশ্চিম তীরের রাজনৈতিক সংগঠন ফাতাহের শীর্ষস্থানীয় এ নেতা ২০০০–২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জনমত জরিপে জানা গেছে ৬৬ বছর বয়সী বারঘুতিকে যদি মুক্তি দেওয়া হয় তবে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট রেকর্ড

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।