‘দিল্লি বিস্ফোরণের পর সব কাশ্মীরিকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ/ ছবি: ফেসবুক@ওমর আবদুল্লাহ

দিল্লি বিস্ফোরণের পর সব কাশ্মীরিকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, গত ১০ নভেম্বর দিল্লিতে প্রাণঘাতী গাড়ি বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কাশ্মীরি পরিচয় এখন সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দু-একজনের কাজের জন্য আজ আমাদের সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। আমাদের হেয় করার চেষ্টা চলছে, যেন আমরা সবাই সেই ঘটনার জন্য দায়ী। এতে আমাদের বাইরের রাজ্যে যাওয়া তো আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের আর বাইরে পাঠাতে চাইবেন না। সব দিক থেকে আমাদের ওপর সন্দেহের দৃষ্টি—সে কারণে আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারাও বিপাকে পড়ছি। এটা বলতে ভালো লাগে না, কিন্তু এটাই বাস্তবতা।

আরও পড়ুন>>
দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, আটক কয়েকশ
দিল্লি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, আরও এক কাশ্মীরি গ্রেফতার

দিল্লি বিস্ফোরণ/ পাকিস্তানকে দোষারোপে ভারত এবার এত সতর্ক কেন?

ওমর আবদুল্লাহ জানান, এখন তিনি নিজেও দিল্লির রাস্তায় ‘জে অ্যান্ড কে’ (জম্মু ও কাশ্মীর) নাম্বার প্লেটের গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে দুবার ভাবেন।

‘আজ দিল্লিতে জে অ্যান্ড কে নাম্বার প্লেটের গাড়ি চালানো যেন অপরাধ বলে মনে করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে বড় নিরাপত্তা দল না থাকলে আমিও ভাবি—গাড়ি নিয়ে বের হবো কি না। কারণ আমি জানি না, পথে কেউ আমাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করবে কি না, আমি কোথা থেকে এসেছি বা কেন এসেছি,’ বলেন তিনি।

দিল্লির লালকেল্লার কাছে আত্মঘাতী সেই গাড়ি বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার তদন্তে যুক্ত হয়েছে দিল্লি পুলিশ স্পেশাল সেল, এনআইএ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ। দুর্ঘটনার পর শুধু ফরিদাবাদেই কাশ্মীর থেকে যাওয়া পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে যাচাই-বাছাই করেছে পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনার জন্য দায়ী মাত্র কয়েকজন, কিন্তু দোষারোপ করা হচ্ছে পুরো জাতিকে।

সূত্র: দ্য হিন্দু
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।