করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশা দেখাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৪ পিএম, ১৮ জুন ২০২০

চলতি বছরেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের মধ্যে দুইশ কোটি ডোজ উৎপাদিত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান এই আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলে প্রথম ডোজ কাদের পাওয়া উচিত; সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে অগ্রাধিকার পাবেন ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা; তারপর যারা বয়স্ক এবং অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তারা। এরপর সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান যেমন- কারাগার এবং কেয়ার হোমে কর্মরত অথবা সেখানে যারা বসবাস করেন তারা পাবেন।

jagonews24

সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, আমি আশাবাদী। কিন্তু ভ্যাকসিন তৈরি একটি জটিল উদ্যোগ। এতে প্রচুর অনিশ্চয়তা থাকে। তবে সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে- আমাদের অনেক ভ্যাকসিন এবং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সুতরাং কোনও একটি যদি ব্যর্থ হয় অথবা দ্বিতীয়টাও ব্যর্থ হয় তারপরও আমাদের আশা হারানো উচিত নয়, আমাদের হাল ছেড়ে দেয়া উচিত নয়।

বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা করোনাভাইরাসের অন্তত ১০টি ভ্যাকসিন বর্তমানে মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশা- আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই যেকোনও একটি ভ্যাকসিন সহজলভ্য হতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অর্ডার করার জন্য ইতোমধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে শুরু করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষাই শেষ হয়নি।

স্বামীনাথান চলতি বছরে লাখ লাখ এবং আগামী বছরের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার আশাকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে এখনও অনেক যদি-কিন্তু রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স।

এসআইএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।