ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। মেক্সিকোর একজন নার্স লাতিন আমেরিকার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করেছেন।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেক্সিকো ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। এর মধ্যে গত বুধবার প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ হাজার ভ্যাকসিন ডোজ দেশটিতে এসে পৌঁছেছে। করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ দেশ মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতের পরেই সবচেয়ে মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকোতে।

চিলি ও কোস্টা রিকাও ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে। লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ আর্জেন্টিনাও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। প্রথম ধাপে তারা রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ৫ ভ্যাকসিনটি দেবে। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে স্পুটনিকের ৩ লাখ ডোজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

করোনায় লাতিন আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হওয়া দেশ ব্রাজিল অবশ্য এখনো ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগে তারা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করতে পারছে না। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেক্সিকো সিটির রুবেন লেনেরো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রধান ৫৯ বছর বয়সী মারিয়া ইরিন রামিরেজ মেক্সিকোর প্রথম স্বেচ্ছাসেবী, যিনি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। রামিরেজ বলেন, ‘আমরা একটু ভয়ে আছি, কিন্তু আমাদেরকে এগোতে হবে। আর আগুনের শিখার সামনেই আমি থাকতে চাই।’

মেক্সিকান সরকার জানায়, মহামারির সঙ্গে লড়াই করা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের তারা ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে চায়। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ আর মৃতের সংখ্যা অন্তত ১ লাখ ২১ হাজার।

এদিকে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্পুটনিক ৫ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশসহ রাশিয়াতেও এই ভ্যাকসিন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রায়াল না দিয়েই রাশিয়া এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্যান্টিয়াগো ক্যাফিয়েরো বলেন, ‘কিছুটা সংশয় ছিল। তবে আমরা সবসময় যেমনটা বলি- আর্জেন্টিনাবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আলোচনায় আমরা ঝুলে থাকতে চাই না।’ আর্জেন্টিনায় করোনায় সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি।

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।