ইসরায়েলে পৌঁছালো ইউক্রেনের ৪০০ ইহুদি, স্বাগত জানালেন বেনেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ এএম, ০৭ মার্চ ২০২২
ইউক্রেন থেকে আসা এক ইহুদি শিশুকে কোলে নিয়ে প্লেন থেকে নামছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেন ছেড়ে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ৪০০ ইহুদি। তাদের মধ্যে ৯০ জন শিশু। তারা কিয়েভের একটি ইহুদি এতিমখানায় ছিল। স্থানীয় সময় রোববার (৬ মার্চ) বিকেলে বিশেষ ফ্লাইটে তারা তেল আবিব পৌঁছে।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার পর দেশটি ছেড়ে অসংখ্য ইহুদি ইসরায়েলে পাড়ি জমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। এজন্য ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ প্রথম ইহুদি উদ্বাস্তু হিসেবে একটি দল তেল আবিবে পৌঁছালো। খবর বিবিসির।

এদিকে, ইউক্রেনের উদ্বাস্তু ইহুদিদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান খোদ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এসময় বেনেট একটি প্লেনে উঠে ইহুদি শিশুকে কোলে করে নামিয়ে আনেন। তিনি বারবার শিশুটিকে চুমু খান।

কিয়েভ থেকে আসা আনা নামে এক ইহুদি বলেন, ‘ইসরায়েল আমার সেকেন্ড হোম। হয়তো এখন থেকে এটিই আমার স্থায়ী ঠিকানা হতে যাচ্ছে। আমি খুবই আবেগপ্রবণ। আমি এখন পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করছি। এখন আমি শান্তিতে একটু ঘুমাতে চাই। আমি জানি এখানে আমি নিরাপদে থাকবো।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল বিভিন্ন মাধ্যমে বলে আসছে, ইউক্রেনের প্রায় দুই লাখ এবং রাশিয়ায় প্রায় ছয় লাখ ইহুদি রয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার এই আট লাখ ইহুদিকে একই জায়গায় নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।

ইউক্রেনের ইহুদি উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানোর পরপরই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নাফতালি বেনেট। এর একদিন আগে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন বেনেট। ওই বৈঠকে বেনেট মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন।

অন্যদিকে গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অন্তত তিনবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। বেনেট জানিয়েছেন, মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে ইসরায়েলের ভালো সম্পর্ক থাকায় ইউক্রেনও চাইছে তেল আবিব মধ্যস্থতা চেষ্টা অব্যাহত রাখুক। এটিকে নৈতিক দায়িত্বও বলেও মনে করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।