প্রতি মিনিটে শরণার্থী হচ্ছে ইউক্রেনের ৫৫ শিশু: ইউনিসেফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২
৪ মার্চ বার্লিনে পৌঁছানো ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা। ছবি সংগৃহীত

রুশ আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন ছেড়ে পালানো মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকেরই শিশু। যুদ্ধের কারণে ঘরছাড়া এসব শিশু পাচার, যৌন হয়রানির মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। খবর এএফপির।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র পল ডিলন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেন ছেড়ে পালানো মানুষের সংখ্যা হিসাব করলে আমরা ৩০ লাখের মাইলফলক পার হয়েছি।

এদিন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের মধ্যে অন্তত ১৪ লাখই শিশু। এদের মধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার শিশু তৃতীয় দেশের নাগরিক।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন, ইউক্রেনে গত ২০ দিন দৈনিক গড়ে ৭০ হাজার শিশু শরণার্থী হয়েছে। যার অর্থ, প্রতি মিনিটে প্রায় ৫৫ জন এবং প্রতি সেকেন্ডে একটি শিশু শরণার্থী হয়েছে। তার মতে, গতি ও মাত্রার দিক থেকে এমন সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি।

jagonews24স্লোভাকিয়া সীমান্তে দুই শিশুসহ এক ইউক্রেনীয় নারী। ছবি সংগৃহীত

ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে ঘরছাড়া এসব শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং পাচারের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ওয়েবসাইটে এখনো ইউক্রেনীয় শরণার্থীর সংখ্যা হালনাগাদ করা হয়নি। তাদের সবশেষ তথ্য বলছে, ইউক্রেন ছেড়ে পালানো মানুষের সংখ্যা ২৯ লাখ ৫০ হাজার। এদের মধ্যে ১৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে।

সাড়ে চার লাখ ইউক্রেনীয় গেছেন রোমানিয়ায়, প্রায় সাড়ে তিন লাখ মলদোভায়, ২ লাখ ৬৫ হাজারের মতো শরণার্থী হাঙ্গেরিতে এবং দুই লাখের বেশি গেছেন স্লোভাকিয়ায়। এর বাইরে রাশিয়ায় ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি এবং বেলারুশে প্রায় দেড় হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী প্রবেশ করেছেন।

কেএএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।