খালেদার নাগরিকত্ব বাতিল চায় ছাত্রলীগ


প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রায় দুমাস পর ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।  সংগঠনটির নেতারা দাবি করেছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে ও তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।

খালেদা জিয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও একই সুরে কথা বলায় তারও শাস্তি দাবি করেছে ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে বিএনপির এই নেতাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণাও করা হয়েছে।       

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত করবে। শুধু শাস্তি নয়, এদের নাগরিকত্বও বাতিল করতে হবে। যারা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করবে তাদেরও নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।’

ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ‘যদি কমিটিতে একজন ছাত্রও থাকে তাহলে ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার কমিটিতে যারা আছেন তারা ছাত্র নন।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটির সদস্যদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করতে হবে।’

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মীরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন খালেদা-গয়েশ্বরকে বাংলাদেশের কোথায়ও স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে। একই সাথে গয়েশ্বরকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।’

তিনি বলেন, ‘যদি রাজনীতি করতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ঢাবিতে অপরাজনীতি চলবে না। আর জাতির পিতাকে নিয়ে যারা খারাপ মন্তব্য করবে তাদের যেখানে পাওয়া যাবে তাদের সেখানে প্রতিহত করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।’

ওই বক্তব্যের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খালেদাকে তলব করেছেন আদালত। ৩ মার্চ তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমএইচ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।