লক্ষ্মীপুরে বিরিয়ানি খেয়ে একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সেমিনারে হোটেলের বিরিয়ানি খেয়ে লিটন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একই খাবার খেয়ে সদর হাসপাতালের ৮ চিকিৎসকসহ ১৫ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
লিটন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় উপশম হাসপাতালের আয়া পারুল বেগমের স্বামী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতাল হল রুমে মঙ্গলবার সকালে ব্র্যাক আয়োজিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার হয়। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের শহরের হাসপাতাল সড়কের নাছির বিরিয়ানি হাউস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি এনে দুপুরে আপ্যায়িত করা হয়। এ খাবার খেয়ে সদর হাসপাতালের ৮ চিকিৎসকসহ অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় ও বমি করতে থাকে। রাত ৯ টা থেকে চিকিৎসকসহ অসুস্থরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসেন।
অসুস্থরা হলেন, সদর হাসপাতালের ইএনটি কনসালটেন্ট ডা. ওমর ফারুক, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. ইকবাল হোসেন, রেডিওলজি কনসালটেন্ট ডা.সালাউদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা.চিন্ময় সাহা, ডা. বনি আদম, ডা. আবদুর রহমান খালিদসহ আটজন চিকিৎক ও তাদের পরিবারের ৭ সদস্য। তারা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লিটনের স্ত্রী পারুল বেগম জানান, সদর হাসপাতালের ওই সেমিনার থেকে পাওয়া একটি বিরিয়ানির প্যাকেট একজন ডাক্তার তাকে দিয়েছেন। তিনি বাড়িতে গিয়ে খাবারটি স্বামীকে খাওয়ান। খাবার পর থেকে তিনি ডায়রিয়াসহ বমি করতে থাকেন। বাড়িতে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হলেও সকালে তিনি মারা যান। এঘটনার আমি বিচার চাই।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. গোলাম ফারুক ভূঁইয়া জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটি হয়েছে। একই খাবার খেয়ে সদর হাসপাতালের ৮ চিকিৎসকসহ ১৫ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একই সময়ে সরবরাহ করা এক প্যাকেট বিরিয়ানি সংগ্রহ করে ঢাকা বিএসটিআইতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নাছির বিরিয়ানি হাউসের মালিক মো. নাছির বলেন, একই সঙ্গে তৈরি করা ১০৪ প্যাকেট বিরিয়ানি অন্য দুইটি অনুষ্ঠানেও সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীক সম্মানহানি করার জন্য খাবার নেওয়ার পর কেউ পরিকল্পিতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি কেউ পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাজল কায়েস/এফএ/এমএএস/আরআইপি