ত্রিপুরায় ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
ত্রিপুরার ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান

আগরতলা সংবাদদাতা

‘ভোটের মতো কিছুই নেই, ভোট আমরা দেব নিশ্চয়’- প্রতিপাদ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

দিবসটি উদযাপনে মূল অনুষ্ঠান করা হয় আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা। এসময় নতুন ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয় ও নির্বাচন সচেতনতামূলক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ভোটের কাজে বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা, নির্বাচনী প্রচারণাকারী ম্যাসকটের নাম ও অবয়ব গঠনের সঙ্গ যুক্তদের সংবর্ধনা ও ওপেন কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সব ভোটারের অংশগ্রহণ জরুরি। গণতন্ত্রে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু মনভেদ হওয়া উচিত নয়।

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা কিরণ নিতো বলেন, ভোটাররাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড। তারা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলে গণতন্ত্রও মজবুত হয়। আমাদের দেশে ৯৪ কোটি ভোটার রয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। নির্বাচন কমিশন যেকোনো নির্বাচনে সব ভোটারের সতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চায়।

তিনি আরও বলেন, নারী, তৃতীয় লিঙ্গ, ৮০ ঊর্ধ্ব ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আরও বেশি মাত্রায় ভোটদান প্রক্রিয়ায় সম্পৃ্ক্ত করার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, ভোটকেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা রাস্তা, হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা ও ৮০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার সুযোগের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।

মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬১০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এগুলো মধ্যে ৪৮০টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, নো ইওর ক্যান্ডিডেট অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো ভোটার প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন।

‘নির্বাচনী কাজের সঙ্গে রাজ্যের ৫০-৫৫ হাজার লোক নিযুক্ত রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য তাদের প্রত্যেককেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’

কিরণ নিতো আরও বলেন, বিগত সময়ের তুলনায় এবছর এখন পর্যন্ত নির্বাচনপূর্ব বিশৃঙ্খলা প্রায় ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। আশা করি, এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে ভবিষ্যতে রাজ্যে বিনিয়োগ, শিল্প ও পর্যটনেখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।