দাবানলে পুড়ছে চিলির বিস্তীর্ণ বনভূমি, ২৩ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চিলিতে দাবানল/ ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির বিভিন্ন বনাঞ্চল। শতাধিক দাবানলে এখন পর্যন্ত দেশটির ২৩ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৯৭৯ জন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সহস্রাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে চিলি সরকার।

jagonews24

আরও পড়ুন>> থামছে না ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল, চলছে উদ্ধার অভিযান

রাজধানী সান্তিয়াগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেন, বর্তমান আবহাওয়া দাবানলের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ক্রমেই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে।

ক্যারোলিনা তোহা আরও জানান, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭৬ বার দাবানলের আগুন জ্বলে ওঠে। অন্যদিক, শনিবার দেশটির বিভিন্ন এলাকার ১৬টি স্থানে আগুন জ্বলে ওঠে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ভয়াবহ তাপপ্রবাহের ফলেই পরিস্থিতি এত কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>> বনভূমিতে দাবানল কেন দরকার?

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, ব্রাজিল ও ভেনিজুয়েলার সরকার বিমান ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনী পাঠিয়ে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।

দেশটির জাতীয় বনায়ন সংস্থা জানায়, শুক্রবার দাবানলের আগুনে ৪০ হাজার হেক্টর (৯৯ একর) বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। দগ্ধ এ এলাকা আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরের চেয়েও বড়। শনিবার মোট ২৩১টি দাবানলের মধ্যে ৮০টির সঙ্গে সক্রিয় লড়াই করা হচ্ছে। এর আগে ১৫১টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসে।

সর্বশেষ চিলির লা আরাউকানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার। তার আগে চিলির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল রেখার মাঝখানে অবস্থিত বায়োবিও ও নুবলে অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

আরও পড়ুন>> ৫০০ বছরে এমন খরা দেখেনি ইউরোপ

জানা যায়, জরুরি অবস্থার আওতায় থাকা অল্প জনবসতিপূর্ণ তিনটি অঞ্চলে অনেক কৃষি খামার ও বিস্তীর্ণ বনভূমি রয়েছে। এসব এলাকায় রপ্তানিযোগ্য আঙুর, আপেল ও বেরি চাষ করা হয়।

এদিকে, চিলির রাষ্ট্রপতি গ্যাব্রিয়েল বোরিক গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে নুবল ও বায়োবিও অঞ্চল পরিদর্শনে যান। সেসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া বোরিক দাবালনের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে পরোক্ষভাবে বলেছেন, কিছু কিছু এলাকায় আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন দেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত মন্তব্য করেননি তিনি।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।