৫০ হাজার মানুষের বন্ধু হচ্ছে আঁড়িয়াল খা সেতু
ছমাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের শত শত বছরের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য শিগগিরই খুলে দেওয়া হচ্ছে আড়িয়াল খা নদের উপরে নির্মিত সেতুটি। সেতুটি খুলে দিলে খুব সহজেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই ইউনিয়নটির মানুষগুলো উপজেলা ও জেলা শহরসহ ঢাকার সঙ্গে বেড়ে যাবে সহজ যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে রাখবে ভূমিকা।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়ের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ শত শত বছর ধরে ট্রলারযোগে আঁড়িয়াল খা নদ পাড়ি দিয়ে উপজেলা ও জেলা শহরসহ ঢাকা যাতায়াত করতো। এতে এই এলাকার মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসের হাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ট্রলারে করে আঁড়িয়াল খা নদটি পার হয়ে কালকিনি উপজেলায় যাই।
একই ইউনিয়নের কাশেম, বেলায়েত, মিন্টু বলেন, এই আঁড়িয়াল খা নদে কোনো সেতু না থাকায় খুব কষ্ট করে তাদেরকে উপজেলা, জেলা ও ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। সেতুটি খুলে দিলে আমাদের দুর্ভোগের দিন শেষ হয়ে যাবে।
মাদারীপুর এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাট বন্দর এলাকায় আঁড়িয়াল খা নদের উপরে ৬৮৬.৪৬ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুটির নির্মাণ কাজ ‘ওটিবিএল’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর শুরু হয়। বর্তমানে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষের পথে।
সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওটিবিএল’ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার দীনেশ দাস বলেন, সেতুটি নির্মাণের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে উন্নত করে সেতুটির নির্মাণ কাজ ৯৮ ভাগ শেষ করে ফেলেছি। বাকি কাজটুকু চলতি মাসেই শেষ করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা হস্তান্তর করে দেব।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মল কুমার বিশ্বাস বলেন, কালকিনি-খাসেরহাট আঁড়িয়াল খা নদের উপরে ৬৮৭ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতুটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমাদের প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশে আমরা সার্বক্ষণিক সেতুটির নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করেছি। সেতুটির নির্মাণ কাজ খুব ভালো হয়েছে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে খুব দ্রুত সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ শত শত বছরের দুর্ভোগের দিন শেষ হওয়ার সেই শুভক্ষণের অপেক্ষা করছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমএএস/এবিএস