মোবাইলে লেনদেনের সুবিধা পাবে এক লাখ বিনিয়োগকারী
দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোবাইলের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনের কার্যক্রমের উদ্বোধন হচ্ছে আগামী বুধবার। ডিএসই কর্তৃপক্ষ এই কার্যক্রমের নাম দিয়েছে ‘ডিএসই মোবাইল ট্রেডার’। প্রাথমিক ভাবে এক লাখ বিনিয়োগকারী এ সুবিধা পাবেন।
রোববার রাজধানীর মতিঝিল ডিএসই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদেন জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা, ডিএসইর সিআরও জিয়াউল হাসান, সিএএফও আব্দুল মতিন পাটওয়ারীসহ ডিএসইর কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে মাত্র এক লাখ বিনিয়োগকারীদের এ সুবিধা দেবে ডিএসই। এতে করে সব বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছে করলেও সুবিধা নিতে পারবেন না। এই সুবিধা পেতে হলে বিনিয়োগকারীকে ব্রোকরেজ হাউজের মাধ্যমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিতে হবে। একজন বিনিয়োগকারী বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন তার মোবাইলের মাধ্যমে।
ডিএসই জানায়, ব্রোকারেজ হাউজের চাহিদা মোতাবেক ব্যবহারকারীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে। ব্রোকারেজ হাউজ তাদেরকে ইচ্ছে মত গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে এর কোন ফি নিধারণ করা হয়নি। পরে ফি নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
ডিএসইর অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম রিনিউয়াল প্রজেক্ট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেড করার পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ডিএসই।
ডিএসই-মোবাইল নামে নতুন যে লেনদেন প্রক্রিয়া ডিএসই চালু করতে যাচ্ছে তার তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকার হাউজগুলোর জন্য এবং বাকি দুটি বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা যে দুটি ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি। এটি দিয়ে সরাসরি ট্রেড করা যাবে না। বিনিয়োগকারী মোবাইলে শুধু তার পোর্টফোলিও দেখতে পারবে। অন্যটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। এই ভার্সন ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী নিজে ট্রেড করতে পারবেন।
তবে, কোনো বিনিয়োগকারী বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড অফার করলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডার সেই আদেশ বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু বাজার দরে আদেশ দিলে তা বাতিল করার ক্ষমতা ট্রেডারের কাছে থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, একজন বিনিয়োগকারী সারাসরি ট্রেড করতে পারবেন। অথবা তার ট্রেডারকে বলতে পারবেন তার পক্ষে ট্রেড করার জন্য। এজন্যই ডিএসই দুই ধরনের ভার্সন চালু করেছ। আর ব্রোকারদের জন্য রাখা সংস্করণটির মাধ্যমে হাউজগুলো ডিলার হিসেবে থাকা শেয়ারের সর্বশেষ তথ্য দেখা ছাড়াও কেনাবেচার আদেশ দিতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপটি একটানা ১০ মিনিট ব্যবহার না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাবে। শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে প্রতিবার আদেশ দেয়ার সময় নতুন করে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। ঝুঁকির বিষয়ে ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন তার প্রেজেন্টেশনে বলেন, নিরাপত্তার জন্য বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এসআই/এসকেডি/এবিএস