হাফিজের পরিবারকে ৪ লাখ দিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক সম্মান শ্রেণির ১ম বর্ষের শিক্ষাথী অকাল প্রয়াত মো. হাফিজুল মোল্লার পিতা এসহাক মোল্লাকে ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৬ মার্চ) উপাচার্য দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই টাকা হস্তান্তর করেন।

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ লাখ টাকা, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ৫০ হাজার টাকা, মার্কেটিং বিভাগ ৫০ হাজার টাকা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মার্কেটিং বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ৫০ হাজার টাকা, অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ৫০ হাজার টাকা এবং হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হাফিজের এই অকাল মৃত্যুতে শুধু একটি পরিবার নয়, সারাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধরণের হৃদয় বিদারক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলকে সচেতন হতে হবে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে না গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার অথবা নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. বেলায়েত হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম, অধ্যাপক ড. মুবিনা খোন্দকার, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, মার্কেটিং বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. শরিফুল ইসলাম দুলু, প্রয়াত হাফিজুল মোল্লার মা হালিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মো. হাফিজুল মোল্লা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন। ফরিদপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে।

এমএইচ/এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।