কুমিল্লায় আ.লীগ-বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ঝারু এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনুস মাস্টারের (আনারস) কর্মী সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ওই এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাংচুর অব্যাহত ছিল। এ সময় অন্তত ১০/১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনী অফিস ও বাড়ি-ঘরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ওই ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনুস মাস্টারের একটি মিছিলে হামলা চালায় আ.লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলামের কর্মীরা। পরে ওই ইউনিয়নে সংচাইল গ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনুছের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের পরই পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়ে উঠে। এ সময় ইউনুস মাস্টারের লোকজন নৌকার সমর্থক জামান (২৭), আমির (৩০), শাহীনসহ (২৮) ৫/৬ জনকে মারধর করে আহত করে। ওই ঘটনার জের ধরে পরে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় উভয় গ্রুপের মাঝে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোর পর্যন্ত থানায় সমঝোতা বৈঠক করে।
কিন্তু সকাল থেকেই উভয় গ্রুপ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকালে বিদ্রোহী ইউনুস মাস্টারের সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানুর বাড়িতে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। পরে বিদ্রোহী গ্রুপের লোকজন নৌকার প্রার্থী জহিরুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, বিবদমান দুটি গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। গত রাত থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরে থানায় উভয় প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতা করা হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকেই উভয় গ্রুপ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কামাল উদ্দিন/এসএস/পিআর