সহিংসতা রোধে নারীকেই সংগঠিত হতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারীদেরই সংগঠিত হতে হবে। পরিবারে নারী ও পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও রোকেয়া স্মরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ও উন্নয়নে নারীর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সম্ভাবনার দেশ। এদেশের নারীরা ঘর গোছানো থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সবই করতে পারে। এভারেস্ট জয়ের মতো কঠিন জয় করে প্রমাণ করেছে নারীরাও পারে। সুতরাং নারীদেরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তোমাদের রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর সভাপতিত্বে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, নারীর মর্যাদা বৃদ্ধিতে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। নারীকে নারী কিংবা পুরুষকে পুরুষ হিসেবে না ভেবে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। পরিবারের নারীকেও সমান অংশগ্রহণে সুযোগ দিতে হবে।
সমাজে নারীর বিভিন্ন ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধেও নারীরা অবদান রাখতে পারে। অবৈধ সম্পদ ঘরে আনতে না দিলে পুরুষের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে আসবে। তাই নারীরা নিজেদের অধিকার রক্ষা এবং সমাজে তাদের অবদান রাখতে আরো সচেতন হতে হবে।
নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রোকেয়ার ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রোকেয়া চর্চার মাধ্যমে নারীর প্রকৃত দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তিনি সকলকে রোকেয়া চর্চা ও গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, উপাচার্যের সহধর্মিণী মিসেস গুল নাহার নবী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইদুল হক, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. নাজমুল হক এবং উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হুমায়ুন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জিতু কবীর/এআরএ/এমএস