ঝালকাঠিতে চলছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা
ঝালকাঠিতে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলের পর ৫ মার্চ শুক্রবার পৌর ও ৭ মার্চ রোববার ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই শুরু হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সময় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মিজানুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধিমালা সুস্পষ্টভাবে প্রার্থীদেরকে জানিয়ে দেন।
সংক্ষিপ্তভাবে তিনি জানান, দুপুর ২ টার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে মাইকিংয়ের জন্য একটি মাইক এবং পথসভার জন্য একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবে। কোনোভাবেই একই স্থানে একই প্রার্থী দুটি মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। এছাড়াও নির্বাচনী কাজে সরকারী বাসভবন ব্যবহার, মটর সাইকেল শো-ডাউন, মিছিল, শোভাযাত্রা, দেয়ালে বা গাছে পোস্টার সাটা, উপাসনালয়ের ছবি সম্বলিত পোস্টার ব্যবহার করতে পারবে না।
প্রতিক বরাদ্দ অনুষ্ঠান দুপুর সাড়ে ১২ টায় শেষ হয়। ২ টা থেকেই প্রচারণা শুরু করা হয়। এরপর থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দুটি মাইক ব্যবহার, মোটরসাইকেল শো-ডাউন, মিছিল, দেয়ালে এবং গাছে পোস্টারিং করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা করে চলেছেন মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা।
পৌর রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মিজানুর রহমান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আসছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রমাণিত হলে আটক ও সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং প্রার্থী নিজে সরাসরি অপরাধ করলে তার প্রার্থীতা বাতিল করার বিধান রয়েছে।
এ ব্যপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া, সিদ্ধকাঠি ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নলছিটিতেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি অফিস তালাবদ্ধ করে মুঠোফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান বলেন, এসময় কোনো নির্বাচন অফিসার মোবাইল বন্ধ করতে পারে না। এটা তার দায়িত্ব অবহেলার শামিল। যদি কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আতিকুর রহমান/এফএ/আরআইপি