বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা সমুদ্র জয় করেছি এবার আকাশ জয় করার অপেক্ষায় আছি।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় টেলিকমিউনিকেশন্স স্টাফ কলেজ এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ৬-৭ বছরের মধ্যে আমরা এ টাকা উঠিয়ে আনতে পারবো। গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের জন্য গাজীপুরে ও বেতবুনিয়ায় ৫ একর করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় এখন মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি আকাশে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপন করা হলে আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ সাশ্রয় হবে। এখন আমরা যারা পৃথিবীর অন্য দেশের স্যাটেলাইট থেকে টাকার বিনিময়ে সেবা গ্রহণ করে থাকি আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হলে আমাদের অর্থ নিজ দেশেই থাকবে। আর টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য এবং টেলিটকের উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামি জুন-জুলাইয়ের মধ্যে এর দ্রুত উন্নতি হবে। আর বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের জন্য আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হবে না। এটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রে আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলানো হবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রীর এ পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে বিটিআরসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারজানা মান্নান, স্টাফ কলেজের পরিচালক মো. শাহজাহান আলীসহ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এবিএস