যেসব কারণে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর ইন্দোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ভারতের সবচেয়ে পরিষ্কার শহর বলা হয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরকে। টানা কয়েকবারই পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এটি। পরিচ্ছন্নতা প্রতিযোগিতা, নগর সরকার, প্রযুক্তিগত সংস্থা, সুশীল সমাজ গোষ্ঠী এবং যারা শহরের পরিচ্ছন্নতা ও স্থায়িত্বের দায়িত্বে নিযুক্ত রয়েছেন তাদের জন্য ইন্দোর শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই শেখার আছে।

আরও পড়ুন: কীভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চমক দেখাচ্ছে ইন্দোর?

দ্য অ্যানালাইসিসের এক প্রতিবেদনে ভারতের সবচেয়ে পরিষ্কার শহরের তালিকায় থাকা ইন্দোরের সফলতা এবং গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ের কারণেই মূলত আজ ইন্দোরকে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর বলে মনে করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো হচ্ছে-

সহযোগিতা
ইন্দোরের স্থানীয় সরকার, স্থানীয় নাগরিক এবং সুশীল সমাজ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। এটাই সম্ভবত তাদের সফলতার অন্যতম কারণ। ইন্দোরকে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই সমান ভূমিকা পালন করছে। তারা মনে করে ব্লেম-গেম কৌশল নিয়ে খেলার দিন এখন আর নেই। সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে শহরের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

জনসম্পৃক্ততা
যারা এখনও বিশ্বাস করেন যে, জননীতি এবং ভোট কমিউনিকেশন বাজেট কমানোর জন্য জনসচেতনতা এবং শিক্ষার ভূমিকা খুবই কম ভূমিকা পালন করতে পারে তাদের জন্য ইন্দোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ তৈরি করেছে। ইন্দোর প্রমাণ করেছে যে, একটি শক্তিশালী জনসম্পৃক্ততা পরিকল্পনা সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রযুক্তিগত উপাদানগুলো পর্যাপ্ত যোগাযোগ এবং প্রচারণার কৌশলগুলোর সঙ্গে পরিপূরক হওয়া দরকার।

রাজনীতিবিদদের সঠিক পরিকল্পনা
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শুধু ইন্দোরের স্থানীয় সরকারই নয় বরং সেখারকার জনপ্রতিনিধিরা এবং সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও ইন্দোরের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মডেলের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে। নীতিনির্ধারক এবং প্রশাসকরা নিশ্চিত করেছেন যে ‘ইন্দোর মডেল’ টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক থাকবে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।