যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত খারাপ করছে অবৈধ অভিবাসীরা: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

অনিবন্ধিত অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত খারাপ করছে মন্তব্য করে আবারও বিতর্কের মুখে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ধরনের মন্তব্য জেনোফোবিক (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) এবং নাৎসি বক্তব্যের প্রতিধ্বনি বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেরবারই।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিবাসনবিরোধী একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় যেতে পারলে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ এবং বৈধ অভিবাসন নীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনে জিতলে ‘একদিনের জন্য স্বৈরশাসক’ হবেন ট্রাম্প

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি প্রচারণা সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন এ রিপাবলিকান নেতা। সেখানে কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে তিনি বলেন, ওরা (অনিবন্ধিত অভিবাসী) আমাদের দেশের রক্ত বিষাক্ত করে তুলছে। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া, আফ্রিকা, সারা বিশ্ব থেকে তারা আমাদের দেশে আসছে।

ট্রাম্প এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দ্য ন্যাশনাল পালস নামে একটি ডানপন্থি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘রক্ত বিষাক্ত করে তোলা’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছিলেন। তার ওই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগ। এর নেতা জোনাথন গ্রিনব্ল্যাট ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক এবং ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

আরও পড়ুন>> ২০২৪ সালে বিশ্বের জন্য বড় হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্প: দ্য ইকোনমিস্ট

ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং ফ্যাসিবাদের ওপর একটি বইয়ের লেখক জেসন স্ট্যানলি বলেছেন, ট্রাম্প বারবার এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা বিপজ্জনক। তার মতে, ট্রাম্পের কথায় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের মিল রয়েছে।

স্ট্যানলি বলেন, তিনি (ট্রাম্প) এই শব্দগুলোকে সমাবেশে বারবার ব্যবহার করছেন। বিপজ্জনক বক্তৃতার পুনরাবৃত্তি করা তার স্বাভাবিককরণ এবং এতে উল্লেখিত বিষয় বাস্তবায়নের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।