ইকুয়েডরের রাস্তা-ঘাট ফাঁকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

ইকুয়েডরে নজিরবিহীন সহিংসতার পর বেশ কয়েকটি শহরে রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী। ফলে রাস্তা-ঘাট একেবারেই ফাঁকা। লোকজনের আনাগোনা একেবারেই চোখে পড়ছে না। একদিন আগেই দেশটিতে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ প্রোগ্রাম চলাকালে তাণ্ডব চালায় বন্দুকধারীরা। মঙ্গলবার গুয়ায়াকিল শহরে এই ঘটনা ঘটে। এদিন ইকুয়েডরের বেশ কিছু স্থানে বোমা বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।

আরও পড়ুন: ইকুয়েডর/টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে ঢুকে বন্দুকধারীদের তাণ্ডব

এদিকে পাঁচটি জেল থেকে বেশ কয়েকজন বন্দি পালিয়েছে। তারা ১৩০ জনের বেশি কারাকর্মীকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। সম্প্রতি দেশটির কারাগার থেকে কুখ্যাত এক অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার পর সোমবার থেকে দুই মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার গুয়ায়াকিল শহরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিসির একটি লাইভ প্রোগ্রাম প্রচারের সময় সেখানে তাণ্ডব চালায় বন্দুকধারীরা। পরবর্তীতে ওই অস্ত্রধারীদের স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে তারা ওই টিভি চ্যানেলের বেশ কয়েকজনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করেছেন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কী কারণে টেলিভিশনের ওই লাইভ প্রোগ্রামে বন্দুকধারীরা এভাবে তাণ্ডব চালালো তা এখনও পরিষ্কার নয়। দেশটির কুখ্যাত অপরাধী জোসে অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস ওরফে ফিটোর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা থাকার পরেও মাদক চক্রের কুখ্যাত ওই নেতার কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং সহিংসতায় জর্জরিত দেশটির বেশ কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার কারণেই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।

গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তিনি। ইকুয়েডরের রাস্তা এবং কারাগারে আগামী দুই মাসের জন্য সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দেশের বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির জন্য তিনি অপরাধী চক্রগুলোকেই দায়ী করেছেন। তিনি এসব অপরাধী চক্রকে নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বলেছেন যে, দেশের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত বিদ্যমান রয়েছে।

সম্প্রতি কুখ্যাত অপরাধ চক্রের নেতাদের জন্য একটি নতুন সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান প্রেসিডেন্ট নোবোয়া। তার এমন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই সহিংসতার সূত্রপাত বলে মনে করছে সরকার।

আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি

বুধবার প্রেসিডেন্ট নোবোয়া জানান, বন্দীদের সংখ্যা কমাতে বিদেশি বন্দিদের বিশেষ করে, কলম্বিয়ার অপরাধীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করবেন তারা।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।