ইতালির সঙ্গে অভিবাসন চুক্তির অনুমোদন দিলো আলবেনিয়ার আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি। এএফপি

সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় রেখে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে আলবেনিয়ার সাংবিধানিক আদালত।

গত বছর সই হওয়া ওই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করছে আলবেনিয়া ও ইতালির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এই চুক্তির বিরোধিতা করছে। এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি গড়ায় আলবেনিয়ার আদালত পর্যন্ত।

আরও পড়ুন>> অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠাবে ইতালি

বিবৃতিতে আদালত জানায়, এই চুক্তির ফলে আলবেনিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ছে না।

চুক্তি অনুযায়ী, অবৈধপথে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে। আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই চলাকালীন আলবেনিয়াতে অবস্থান করবেন।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রাখার জন্য আলবেনিয়ার শেংজিন বন্দরের কাছে দুটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিবন্ধিত হবে। কেন্দ্র দুটি পরিচালিত হবে ইতালীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৬৫ কোটি ইউরো।

আরও পড়ুন>> নতুন বছরেও অবৈধ অভিবাসনের হিড়িক, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ২০০ জন

এর আগে ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয় চুক্তিটি। যদিও দেশটির বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করছেন। তাদের দাবি, চুক্তিটিকে ‘নির্বাচনী প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে ব্যবহার করছে জর্জিয়া মেলোনির সরকার। বিরোধীদের মতে, সরকারের এই প্রকল্প ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন কমানোর সম্ভাবনা কম। তাছাড়া এটি একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প।

চুক্তিটি পাসের জন্য এখন দেশটির আইনসভার উচ্চকক্ষ বা সিনেটে পাঠানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সিনেটও চুক্তিটির অনুমোদন দিতে পারে।

অন্যদিকে, আলবেনিয়ার ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোও এই চুক্তির সমালোচনা করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সমালোচনা করে ডানপন্থিদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং এটি দয়িত্বহীন এক চুক্তি, যা আলবেনিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

আরও পড়ুন>> ইতালির কঠোর পদক্ষেপেও কমছে না অবৈধ অভিবাসন

সমালোচনা করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও৷ বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি বলছে, এমন চুক্তি অমানবিক।

বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে আলবেনিয়া সরকার জানায়, চুক্তিটি আলবেনিয়ার সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাওলান্ত বালা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা আলবেনিয়ার একখণ্ড ভূমিও বিক্রি করছি না। আমরা ইতালিকে একটু জায়গা দিচ্ছি মাত্র, যেমনটি বিদেশি দূতাবাস স্থাপনের ক্ষেত্রে দিয়ে থাকি।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।