মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি খালাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় শিশু তাসিনকে (৬) অপহরণের পর দাবি করা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির দুইজনকে খালাস এবং একজনের দণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে পাভেল ও রুবেলকে খালাস এবং জাহিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী রয়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। অন্যদিকে আসামিপক্ষের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলী ও কাদের (এ কে) খান উজ্জল।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী জানান, তিন আসামির মধ্যে স্বীকারোক্তিদানকারী আসামি জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাভেল ও রুবেলকে খালাস দিয়েছেন।

২০১০ সালের ২৭ জুলাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে তাসিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামে নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়।

নানার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ, পাভেল ও রুবেল ওইদিন তাসিনকে অপহরণ করে। ওই রাতেই তাসিনের মাকে ফোন করে জহিদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা তাসিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুরে কচুরি পানার নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখে।

ঘটনার পরদিন ২৮ জুলাই তাসিনের বাবা সদর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য। বাকী ৭ জনকে খালাস দেন।

বিচারিক আদালতে দণ্ডিতরা হলেন- গাইবন্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহিদ, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাভেল ও একই উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিল্টু মিয়ার ছেলে রুবেল।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট জাহিদের দণ্ড বহাল রেখে বাকী দুইজনকে খালাস দেন।

এফএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।