বার নির্বাচন
সংঘর্ষ-ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা মিছিল বের করেন। এসময় তারা ভোটকেন্দ্রের প্রবেশপথের বাইরে প্যান্ডেল ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে বিএনপিসমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারসমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসময় পুলিশ বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায়। একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রনিজিৎ চক্রবর্তীর চেম্বারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থিরা। এসময় আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবীর কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের বেপরোয়া হামলার শিকার সাংবাদিকরা
অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলের চেম্বারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবীর চেম্বারের কাচ ভাঙচুর করা হয়। আধাঘণ্টা ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় আদালত অঙ্গনে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিকেল ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আইনজীবীদের বাধার মুখে ভোটগ্রহণ বন্ধ
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপিসমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এসময় শতাধিক বিএনপিপন্থি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/এএএইচ/এএসএম