বিচারকের সামনে কাঁদলেন এ্যানি, ‘আমি কি চোর না ডাকাত’
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আজ বুধবার তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালতে তোলা হয়।
এসময় শুনানিতে এ্যানি কিছু বলবেন কি না জানতে চান বিচারক। তখন তিনি বিচারকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেফতার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত? আমি এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: এ্যানিকে ডাকাতের মতো ধরে নিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
এরপর শুনানি শেষে বিচারক এ্যানির জামিন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ড দেন। এর আগে তাকে ধানমন্ডি মডেল থানায় করা মামলায় তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহিদী হাসান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলা দুটির মধ্যে একটি ধানমন্ডি থানায় করা, আর অপরটি লক্ষ্মীপুরে করা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বিএনপি নেতা এ্যানিকে আটকের অভিযোগ
ধানমন্ডি থানায় করা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ মে সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী পদযাত্রা করেন। এরপর সমাপনী বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার আগে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, ইট-পাটকেল ও ককটেল নিয়ে পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা এ্যানি ৪ দিনের রিমান্ডে
মামলায় আরও বলা হয়, এসময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ অফিসার ও সদস্যরা আহত হন।
জেএ/জেডএইচ/