কোন রঙের কফ কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩

গরমের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যা। বাড়িতে একজন সুস্থ হলে অন্য জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকের তো জ্বর সারলেও সর্দি-কাশির সমস্যার সহজে সারছে না।

গলায় কফ দলা পাকিয়ে থাকছে, বুকের ভিতর ঘড়ঘড় করছে। সেই কফ যখন ফেলা হয় তখন তার রং হয় বিভিন্ন রকম। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফ দিয়েই কিন্তু বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানা যায়।

আরও পড়ুন: ভাইরাল ইনফেকশন ঠেকাতে এ সময় যা করবেন

সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস ও শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে শ্লেষ্মা।

যে কোনো রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল।

কফের রং দেখে কীভাবে রোগ চিনবেন?

আরও পড়ুন: রোজা রাখলে কমবে ওজন-ডায়াবেটিস, আছে আরও উপকারিতা

হলুদ

শরীরে বড় রকম কোনো সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রং এমন হলে সাবধান। দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কালো

আপনার কফের রং হালকা কালো হলে বুঝতে হবে আপনি অত্যন্ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এছাড়া মিউকারমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রং কালচে হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: খোসা ছাড়িয়ে নাকি খোসা’সহ শসা খাবেন?

মিউকারমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।

গোলাপি বা লাল

অনেক সময় ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে।

তার কারণেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। এছাড়া অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রং লালচে হতে পারে।

আরও পড়ুন: রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

বাদামি

যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাদের কফের রং বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়।

ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনও কখনও কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।

আরও পড়ুন: তরমুজের বীজ গিলে ফেললে শরীরে যা ঘটে

সাদা

থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনটি হলে বুঝবেন, আপনার নাকের কোষগুলো সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে।

ফলে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক/ডেইলি মেইল

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।