নিজের যত্ন নিন আজ

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবারই নিজের যত্ন নেওয়া উচিত। তবে কর্মব্যস্ততার খাতিরে ও পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান।
যা শারীরিক জটিলতাসহ মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই প্রতিদিনের রুটিনে সেলফ কেয়ার বা স্ব-যত্নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত সবার।
আরও পড়ুন: রক্ত পরীক্ষা করেই জেনে নিন হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না
আজ ২৪ জুলাই, আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন দিবস। সারাবিশ্বে দিবসটি পালিত হয় স্ব-যত্নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতে। নিয়মিত নিজের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
চিকিৎসাগতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, স্ব-যত্ন নেওয়ার অভ্যাস উদ্বেগ বা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ কমে ও সুখ বাড়ে।
নিজের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে শারীরিকভাবে মানুষ যেমন সুস্থতা লাভ করেন, ঠিক তেমনই মানসিকভাবেও হয়ে ওঠেন শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর যেসব অভ্যাস সংসারে অশান্তির কারণ হতে পারে
আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন দিবসের ইতিহাস
স্ব-যত্ন স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন দিবস পালন করা শুরু হয়। স্ব-যত্নের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সেলফ কেয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি শুধু ত্বকের যত্ন নিলেন বা মনের। এটি বলতে আপনার সুস্থতার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সেসব কাজগুলো নিয়মিত করাকে বুঝায়।
যেমন- নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা, পরিচ্ছন্নতা, মেডিটেশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন আপনার সেলফ কেয়ার রুটিনে।
আরও পড়ুন: মানসিক চাপ যাদের জন্য হতে পারে বিপজ্জনক
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ব-যত্নের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের থেরাপি পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সোরানো সম্ভব।
কীভাবে নিজের যত্ন নেবেন?
>> স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারে যতটা সম্ভব ফল, শাকসবজি ও পুরো শস্য রাখুন।
>> ঘুমকে প্রাধান্য দিন। মানসিক ও শারীরিকভাবে আপনি কেমন অনুভব করেন তার উপর ঘুমের একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব আছে। পর্যাপ্ত ঘুমালে পরের দিনটি স্বাভাবিকভাবেই ভালো কাটে। এতে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: সঙ্গীর যে কাজ পুরুষদের মোটেও পছন্দ নয়
>> স্ব-যত্নের পরিকল্পনা করুন ও সীমানা নির্ধারণ করুন। এমন কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ দেবে ও আপনাকে রিচার্জ করতে সহায়তা করবে।
>> নিয়মিত শরীরচর্চা ও মেডিটেশন করুন। এ দুটোই জরুরি সুস্থ থাকার জন্য। নিয়মিত শরীরচর্চা সেট্রস হরমোনের উৎপাদন কমায়। ফলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে/মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট এইড
জেএমএস/এমএস