হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
হুপিং কাশির ব্যাকটেরিয়ার নাম বরদেতেল্লা পারটুসিস

সর্দি লাগলে কমবেশি কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে কাশির লক্ষণ কখনো কখনো গুরুতর হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হুপিং কাশির সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই শিশুদের মধ্য়ে ঘন ঘন কাশির লক্ষণ দেখলেই তাই সতর্ক হতে হবে।

আসলে হুপিং কাশি একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। বর্তমানে এর টিকাও সহজলভ্য। এই টিকা নিলে হুপিং কাশি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। হুপিং কাশির ব্যাকটেরিয়ার নাম বরদেতেল্লা পারটুসিস।

হুপিং কাশির লক্ষণ কী কী?

একেকটি ধাপে একেক রকম লক্ষণ থাকে হুপিং কাশির। যেমন প্রাথমিক ধাপে এই কাশি সাধারণ সর্দিকাশির মতোই শুরু হয়। এর পরের ধাপে কাশি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা দিতে আরও কিছু উপসর্গ। যেমন-

আরও পড়ুন

>> নাক থেকে জল পড়া, বারবার নাক টানা
>> অল্প জ্বর
>> মাঝে মাঝে কাশি (শিশুদের এই কাশি হয় না)
>> স্লিপ অ্যাপনিয়া অর্থাৎ ঘুমের মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণ নিশ্বাস থেমে যাওয়া
>> সায়ানোসিস অর্থাৎ মুখচোখ নীল বা বেগুনি হয়ে যেতে থাকা।

প্রথম দুই সপ্তাহ এই ধরনের লক্ষণই দেখা যায়। পরে এই লক্ষণগুলোতে কিছু বদল আসে। বেশিরভাগ ব্যক্তি তখনই এই ব্যাপারে সতর্ক হন। দুই সপ্তাহের মাথায় প্যারোক্সিজমের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।

এই অবস্থায় প্রচণ্ড জোরে ও ঘন ঘন কাশি হয়। আর কাফিং ফিটও হয়। অর্থাৎ কাশতে কাশতে কাশি আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এ সময়েই হুপের মতো আওয়াজ নির্গত হয় মুখ দিয়ে।

অন্যদিকে বমিও হয় কাফিং ফিটের সময়। শিশু প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ে ফিট হলে। শ্বাসকষ্টের সমস্য়া এই সময় বাড়ে।

কমবেশি আট সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে থাকে। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে সেরে উঠতে থাকে আক্রান্ত ব্যক্তি বা শিশু। সেরে ওঠাকালীন এই লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এক সময় তা সেরে যায়। কমবেশি চার সপ্তাহ এই পর্যায়টি চলে।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।