যেভাবে তোয়ালের যত্ন নিবেন

নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন, ভাবছেন তোয়ালের আবার যত্ন কী? হ্যাঁ, তোয়ালেরও যত্নের প্রয়োজন আছে । দৈনন্দিন জীবনে যে পণ্যগুলো আমরা ব্যবহার করি, সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে তোয়ালে। একই তোয়ালে দিনের পর দিন ব্যবহার করে যাই আমরা অনেকেই, পরিবর্তন করার প্রয়োজন বোধ করি না। অনেকেই নিয়মিত তোয়ালে ধুই না বা জানিও না যে তোয়ালে কতদিন পর পর ধোয়া উচিত। নিজের অজান্তেই তোয়ালের কারণে নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হই আমরা। যেমন, আপনি কি জানেন আপনার ব্রণের সমস্যার পেছনে একটা বড় ভূমিকা রাখে তোয়ালে?
১. একই টাওয়েল সব কাজে ব্যবহার করবেন না, প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন। স্নান করা, মুখ মোছা ও হাত মোছার জন্য তিনটে আলাদা তোয়ালে- রাখতে হবে। বিশেষ করে মুখ মোছার তোয়ালেটি অবশ্যই যত্ন করে রাখুন।
২. স্নান করার বাথ টাওয়েল সপ্তাহে একদিন ধুয়ে ফেলুন।
৩. হাত মোছার তোয়ালে একদিন পর পর ধুয়ে ফেলুন। যে তোয়ালে দিয়ে খাবার পর হাত ধুয়ে মোছা হয়, সেটি রোজ ধুয়ে ফেলাই ভালো। অন্যান্য হাত মোছার তোয়ালে একদিন অন্তর অন্তর ধুয়ে ফেলুন।
৪. ভারী কাপড়ের তোয়ালে অবশ্যই হালকা গরম জল দিয়ে ধোবেন।
৫. ধুয়ে ফেলার পর তোয়ালে জীবাণুনাশক লিকুইড দিয়েও পরিষ্কার করে নিন।
৬. তোয়ালে অবশ্যই পরিষ্কার স্থানে শুকাতে দিন এবং বেশি সময় খোলা বাতাসেও ফেলে রাখার দরকার নেই।
৭. তোয়ালে ধোয়ার পর ইস্ত্রি করে নিলে অনেকদিন থাকবে নরম ও মোলায়েম।
৮. আপনার হাত ও মুখ মোছার তোয়ালে প্রতি ৩ মাস পর পর কিংবা নষ্ট হলেই বদলে ফেলুন। স্নান করার তোয়ালে ১ বছর পর পর বদলে ফেলুন। পুরনো তোয়ালে অন্য কাজে ব্যবহার করুন।
৯. মনে রাখবেন, আপনার মুখে ব্রন হবার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিছন্ন তোয়ালে। ময়লা তোয়ালের কারণে আপনার হতে পারে নানান রকমের ত্বকের অসুখ, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে এমন যে কোন অসুখ যা জীবাণুঘটিত কারণে হয়। একটু সচেতনতাই আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও সুন্দর।
পিআর