হাতের মুঠোয় স্বপ্নের কাল মেঘ


প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

চারিদিকে অবারিত প্রকৃতি আর তার মাঝে একেবারে নিজস্ব একটা দোতলা কাঠের বাড়ি, সুইমিং পুল, তরতাজা সবুজ ঘাসে ছাওয়া উঠোন। খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাইলেই ছোঁয়া যায় ঝকঝকে নীল  আকাশ। একটু দূরে তাকালেই চোখে পড়ে আদিগন্ত বিস্তৃত চিরহরিৎ বিশালতা। শুনে যতই মনে হোক শিল্পীর তুলিতে ক্যানভাসে রঙের খেলা, পুরো ব্যাপারটাই আসলে এখন বাস্তব। বর্ণনার এই জায়গাটা আসলে ‘লেইজার কাল মেঘ ভিলা অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব’।

ঢাকা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টার দূরত্বে, গাজীপুরের শ্রীপুরে, কাল মেঘ রিজার্ভ ফরেস্টের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এক মনোমুগ্ধকর আয়োজন। প্রথম দেখে মনে হবে বুঝি কোনো রিসোর্ট। কিন্তু রিসোর্টের সাথে পার্থক্য হলো, এখানকার ৩০০০ থেকে শুরু করে ৫০০০ স্কয়ার ফিটের বিলাসবহুল দোতলা বাংলোগুলো বানানোই হয়েছে শৌখিন মানুষদের কাছে বিক্রির জন্য। সেইসব শৌখিন মানুষদের জন্য, যারা চান শহরের কোলাহল থেকে দূরে কিন্তু শহুরে সব রকমের সুযোগ সুবিধা সহকারে প্রকৃতির কাছাকাছি নির্জনে সময় কাটাতে।

বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের প্রথম বাংলোটি বুঝিয়ে দেয়া হলো তার মালিককে। আর সেইসাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘লেইজার কাল মেঘ ভিলা অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব’। কান্ট্রি ক্লাবের এই ধারণাটাও বাংলাদেশে একেবারেই নতুন।

এটি ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের বিশালাকার একটি ক্লাব হাউজ, যেখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সব সুযোগ-সুবিধা যেমন অলিম্পিক মাপের সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড, থাই পরিচালিত স্পা, স্টিম, সনা, জাকুজি, অত্যাধুনিক জিম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সিনেমা হল, দারুণ একটি পাঠাগার, আরামদায়ক ক্যাফে, চমৎকার রেস্তোরাঁ, খেলার মাঠ, মনোমুগ্ধকর লেক, টেনিস কোর্ট এবং কনভেনশন হল।

বিশেষ করে যদি বলা হয় যে এইসব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে একেবারে জঙ্গলের মধ্যেখানে তাহলে ব্যাপারটা মনে হয় আরো অভিনব। ৫২ বিঘা জমির ওপর সম্পূর্ণ সুরক্ষিত প্রাচীরঘেরা এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে লেইজার বাংলাদেশ লিমিটেড যারা এরই মধ্যে অর্জন করেছে যুক্তরাজ্য থেকে এশিয়া প্যাসিফিক প্রপার্টি অ্যাওয়ার্ড এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম অ্যাওয়ার্ড। প্রকল্পটিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

মালিকানা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লেইজার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওমর সাদাত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়াত সিরাজ, প্রকল্পের প্রথম মালিক রাজিব হাসান, বিক্রয় ও বিপণন প্রধান আয়েশা সিদ্দিকা এবং ইউনিক লাক্সারি হোটেলস অফ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধাম্মারাস বি কাসেম।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।