এই শীতে পার্টিসাজ
শীত এলেই দাওয়াতের তালিকাটা একটু বড় হয়ে যায়। এই সময়টাতে বিয়ে কিংবা অন্যান্য পার্টিতে হাজিরা দিতে হয় অনেককেই। শীতকালটা তাই পার্টিসাজের জন্যও উপযুক্ত সময়। পার্টিসাজের জন্য সাজটা হওয়া চাই জমকালো। তবে দিনের আলোতে একটু হালকা আর রাতের কৃত্রিম আলোতে একটু ঝলমলে সাজেই আপনাকে বেশি সুন্দর লাগবে।
দিনের সাজ
দিনের বেলা সাজের ক্ষেত্রে হালকা ধরনের মেকআপই আপনাকে অনন্য করে তুলবে। মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে হালকা ফেস পাউডার বুলিয়ে নিন। পার্টির আমেজ আনতে চিরচেনা কাজলই একটু গাঢ় করে চোখের কোলে বুলিয়ে নিন। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে নানা রঙের পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন। চোখের বাইরে কাজল দিলে মাশকারা ও আইলাইনার না দিলেও চলবে। আপনার পোশাকের রঙের আইশ্যাডো ব্লেন্ড করেও দিতে পারেন। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে ম্যাড়ম্যাড়ে রংগুলো এড়িয়ে গেলেই ভালো।
শীতে একটু জমকালো বা চকমকে পোশাকেই পার্টিসাজ ভালো মানাবে। লিপস্টিকের ক্ষেত্রে আপনি যদি গ্লসি পছন্দ করেন তবে এর উপরে নরমাল কালারের লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। চুলের স্টাইল নির্ভর করবে আপনার পোশাকের ওপর। যদি শাড়ি পরেন তাহলে হাত খোঁপা করে চুলে ফুল লাগাতে পারেন। আর আপনার চুল যদি ছোট হয় তাহলে ছেড়ে দিতে পারেন। এখন চলছে চুল রিবন্ডিং করার ট্রেন্ড। তাই অনুষ্ঠানের আগে ভালো হেয়ার আয়রন দিয়ে চুলটা সোজা করে নিতে পারেন। ভারী গহনা বাদ দিয়ে পরতে পারেন মেটাল, এন্টিক, রূপার গহনা। অন্যরকম লুকের জন্য মাটির গহনাও দারুণ। শাড়ি অথবা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরুন চুড়ি অথবা ব্রেসলেট।
শীতের রাতের সাজ
রাতের দাওয়াতে সাজটা একটু গাঢ় হলেও ক্ষতি নেই। শীতে মেকআপে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সহজেই মেকআপের বেইজ ত্বকে বসে যায়। মেকআপের আগে ফেসওয়াশ লাগিয়ে মুখ ধুয়ে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এরপর টোনার দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। লিকুইড ফাউন্ডেশন মুখ-ঘাড়-গলায় ভালো করে ব্লেন্ড করে লাগান। ফাউন্ডেশন দেয়ার পরও মুখে যদি সূক্ষ্ম রেখা বা দাগ থাকে, তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। ফেস পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশনটা বসিয়ে দিন।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পোশাকের রঙে বা সম্পূর্ণ ভিন্নরঙা কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে গ্লিটার আই লাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। নীল, সবুজ, সোনালি বা রুপালি যে কোনো রঙের আইলাইনারই ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সাজে চোখের মেকআপটা গাঢ় হয়। সেক্ষেত্রে গাঢ় মাশকারা আর কাজল ব্যবহার করুন।
লিপস্টিকের ক্ষেত্রে ম্যাট এড়িয়ে গেলেই ভালো। এর বদলে গ্লসি লপিস্টিক বেছে নিন। ন্যাচারাল, বাদামি পিচ অথবা গোলাপি রং বেছে নিতে পারেন। ব্লাশন লাগান চিকবোন বরাবর। ব্লাশন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন, দেখতে যেন উগ্র না লাগে। কপালের আকার অনুযায়ী ছোট-বড় টিপ পরতে পারেন। রাতের বেলা ভারী গয়না পরলেই বেশি ভালো লাগবে।