ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাহাড়ে চলছে প্রাণের মেলা

প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতি গোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহি প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই বর্ণাঢ্য পার্বত্য সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, নতুন বছরের আগমনে পাহাড়ের মানুষ আনন্দে মেতে উঠে। এই আয়োজন আরো বেশি উপভোগ্য হতো যদি পাহাড়ে স্থিতিশীলতা থাকতো। পার্বত্য সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষের সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল জাতি গোষ্ঠির নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। আর এসব জাতি গোষ্ঠির ভাষা ও সংস্কৃতি হচ্ছে তাদের পরিচয়। তাই এসব উৎসবে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা প্রশাসক সামসুল মো. সামসুল আরেফিন বলেন, পাহাড়ের এই ঐতিহ্যবাহি সংস্কৃতি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি যাতে এই উৎসব নির্বিঘ্নে করতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকমের সহায়তা দেয়া হবে।

উদ্বোধনী দিনে মধ্য মাঠে ছোট ছোট কিশোরীদের মনোজ্ঞ নৃত্যে প্রানবন্ত হয়ে উঠে পুরো আয়োজন। বিশাল মাঠের অপর পাশে চলতে থাকে কিশোর কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন। আর মায়েদের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। মাঠের এক পাশে পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ইতিহাস ঐতিহ্য আর সাংস্কৃতিক নানা উপকরণ নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার স্টল। নিজ নিজ জাতি গোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহি পোশাকে সজ্জিত পাহাড়ি তরুণীদের সরব উপস্থিতি মেলাকে যেনো আরো রঙিন করে তুলেছে।

সন্ধ্যা নামতেই মারমা, প্রো, চাক, বম, খিয়াং ও লুসাই নৃ-গোষ্ঠি শিল্পীদের প্রানোচ্ছল পরিবেশনা বর্ণিল করে তোলে মেলাঙ্গন। রাতের নিস্তব্ধতা নামতেই অডিটোরিয়ামে শুরু হয় চাকমা নাটক “চান্দবি”।

এমএএস/আরআই