তারেক রহমানের আগমনে নতুন আশার আলো দেখছেন বাঁধন
ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। শুটিং, নতুন কাজের পরিকল্পনা ও ভ্রমণ-সব মিলিয়ে সময় বেশ ব্যস্ততায় কাটছে তার। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতেও পিছপা হন না তিনি। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই অভিনেত্রী।
আজ (২৬ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাঁধন লেখেন, গত কয়েক দিন শুটিং, ভ্রমণ, কাজের পরিকল্পনা ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় কেটেছে। সবকিছুর জন্যই তিনি কৃতজ্ঞ। বর্তমানে এমন সব প্রজেক্টে কাজ করছেন, যা তাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে। গত বছর তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে একটি ইতোমধ্যেই রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যটি আরও বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাবে বলেও তার বিশ্বাস। এগুলো কোনো ভাগ্যের ফল নয়, বরং বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা ও সততার অর্জন-এমনটাই উল্লেখ করেন তিনি।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর পর একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজের পথচলা আমূল বদলে গেছে বলেও জানান বাঁধন। তার ভাষ্য, এসব সুযোগ এসেছে দীর্ঘ অধ্যবসায়ের মাধ্যমে, শর্টকাট কোনো পথে নয়। একইসঙ্গে কিছু শিল্পীর ঈর্ষা, চরিত্রহনন ও অবমাননার সংস্কৃতি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বাঁধনের মতে, এই প্রবণতা সৃজনশীল সমাজকে দুর্বল করে এবং রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোকেই আরও স্পষ্ট করে তোলে। তিনি আশা করেন, সবাই থেমে গিয়ে নিজেদের শুধরে ভালো কিছু করার পথে হাঁটবেন।
পোস্টে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, দেশ শোক, অবিচার ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে-এ কথা সবারই জানা। তবে সেই বেদনার মাঝেই তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রত্যাবর্তনে তিনি নতুন আশার আলো দেখছেন। নিজের স্ত্রী ও কন্যার প্রতি দেখানো সম্মান, বিশেষ আসনের পরিবর্তে সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ারে বসা এবং এমনকি তাদের পোষা বিড়ালের প্রতিও মমতা-এসব বিষয় তার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন বাঁধন। তার মতে, দয়া ও নেতৃত্বের চর্চা ঘর থেকেই শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
আজ যা ঘটছে ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে : বান্নাহ
তার মনের নেক আশাগুলো আল্লাহ পূর্ণ করুন: কনকচাঁপা
দেশের মাটিতে খালি পায়ে তারেক রহমান, কনকচাঁপার আবেগঘন বার্তা
সবশেষে বাঁধন লেখেন, বিষয়গুলো দেখতে ছোট মনে হলেও রাজনীতিতে এর গুরুত্ব অনেক। এগুলো ইঙ্গিত দেয় ক্ষমতা কেবল বিশেষ সুবিধার জন্য নাকি মানুষের সেবার জন্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের নেতারা প্রমাণ করবেন যে জবাবদিহিতা ও সহমর্মিতা শুধু শব্দ নয়। দেশের জন্য এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন, যারা শাসন নয়, সেবা করবেন। জীবন অত্যন্ত মূল্যবান-এটি রক্ষা করা জরুরি। এই মুহূর্তে তিনি আশা, দায়িত্বশীলতা ও শক্তিকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
এমএমএফ
টাইমলাইন
- ০৪:১০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারেক রহমানের আগমনে নতুন আশার আলো দেখছেন বাঁধন
- ০২:৪০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ দেশের মাটিতে খালি পায়ে তারেক রহমান, কনকচাঁপার আবেগঘন বার্তা
- ০৭:৩২ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ এরচেয়ে বেশি লোক হয়েছিল, আমাদের নেত্রীকে বিদায় দিতে: আবু হেনা রনি
- ০৬:৩৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারেক রহমানের বক্তব্য শুনে যা বললেন পরীমনি