ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

গরমে অতিরিক্ত ভারী খাবার খেলে যা হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ০৯ জুন ২০২৫

মানবদেহ হলো একটি সুক্ষ্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। আমদের দেহ পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিক্রিয়া জানায়, বিশেষ করে তাপমাত্রার ক্ষেত্রে। গরমের সময় আমাদের বিপাকক্রিয়া, পানি ধারণের মাত্রা এবং দেহের সার্বিক কার্যক্রম ঠান্ডা আবহাওয়ার তুলনায় ভিন্নভাবে কাজ করে।

এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাদ্যাভ্যাস। অতিরিক্ত ভারী বা তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে গরমে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো জানা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তাই জেনে নিন এই গরমে অতিরিক্ত ভারী খাবার খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে-

১. হজমের সমস্যা
তেল-মশলাযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার হজম করতে শরীরকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে, তার উপর ভারী খাবার খেলে হজমপ্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, অম্বলতা বা হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

২. পানিশূন্যতা
অনেক ভারী খাবারে থাকে বেশি পরিমাণে লবণ ও মসলা, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। গরমে ঘাম হওয়ার মাধ্যমে শরীর এমনিতেই পানি হারায়। এই অবস্থায় যথেষ্ট পানি না খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ঘন হলুদ প্রস্রাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩. ক্লান্তি ও গরমে অতিরিক্ত দুর্বলতা
ভারী খাবার খেলে হজমে বেশি পানি দরকার হয়, ফলে শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এতে দেহ দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তীব্র গরমের সঙ্গে এই ক্লান্তি মিললে গরমে অতিরিক্ত দুর্বলতার ঝুঁকি বাড়ে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এমনকি অজ্ঞান হওয়ার কারণ হতে পারে।

গরমে অতিরিক্ত ভারী খাবার খেলে যা হয়

বিজ্ঞাপন

৪. দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
বিশেষ করে অতিরিক্ত ঝাল খাবার শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বাহ্যিক গরমের সঙ্গে মিলিয়ে এটি শরীরে অতিরিক্ত উত্তাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে হিট স্ট্রোকের মতো মারাত্মক অবস্থা তৈরি হতে পারে।

৫. ওজন বৃদ্ধি ও পুষ্টিহীনতা
গরমকালে ভারী খাবার খাওয়া এবং কম পরিশ্রম করায় ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। এসব খাবারে সাধারণত পুষ্টি কম কিন্তু চর্বি বেশি থাকে, যা শরীরকে দুর্বল করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

তাই তীব্র গরমের মধ্যে ভারী মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করে হালকা ও ঠান্ডা খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি ও পানীয় গ্রহণ পান করা দরকার। একসঙ্গে অনেক বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খান। দই, ঘোল এবং ফারমেন্টেড খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হজমে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় এ জাতীয় খাবার রাখুন।

বিজ্ঞাপন

গরমে আমাদের দেহের কার্যপ্রণালী স্বাভাবিক থেকে ভিন্ন হয়, আর এই সময়ে অতিরিক্ত ভারী খাবার খেলে তা নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই গরমকালে হালকা, স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং শরীরের সংকেত বোঝার মাধ্যমে আমরা গরমকালেও সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারি।

তথ্যসূত্র: ফ্যামিলি মেডিসিন সেন্টার অর্গানাইজেশন, কিমস্ হেল্থ, বেটার হেল্থ

সানজানা/এএমপি/জেআইএম

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন