কবি মফিজুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
শরীয়তপুরের শিশু সংগঠক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কবি মফিজুল ইসলামের ৭১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৫৩ সালের এই দিনে সদর উপজেলার বিনোদপুর সুবেদারকান্দি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি মেঘাই সরদার ও হাফিজা খাতুন ছুটুবিবির সন্তান।
শৈশব থেকেই কবি মফিজুল ইসলাম পারিবারিকভাবে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে বড় হয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থা থেকেই যুক্ত হন লেখালেখিতে।
১৯৭১ সালে তিনি পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজে অধ্যায়ন করেন। এরপর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে তিন বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা সম্পূর্ণ করেন।
কবি মফিজুল ইসলাম সাহিত্য অঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার লেখা বেশ কয়েকটি বইয়ের মধ্যে ‘মাটি ও মানুষের বঙ্গবন্ধু’, ‘বেদনার নীল চিঠি’, ‘বিষাদ বিজয়ে বাঙ্গালী’, ‘মুজিবপুষ্প’, ‘এক মিলনের বাঁশী’ উল্লেখযোগ্য।
বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কারও। তিনি ১৯৮২ সালে ভেদরগঞ্জ থানা পরিষদ থেকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, ২০০২ সালে শরীয়তপুর জেলা কৃষি মেলা পুরস্কার, ২০০৫ সালে ফরিদপুর কবি জসীম উদ্দীন হলে সংবর্ধনা ও নির্ণয় শিল্পগোষ্ঠী পুরস্কার, ২০০৮ সালে মাদারীপুর এম এম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবর্ধনা ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার, ২০১১ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের (পরিবেশ ও জীবন) জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদক (রাষ্ট্রীয় পুরস্কার), সবশেষ ২০১৪ সালে জাতীয় সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা পদক অর্জন করেন।
প্রতিবছর কবির জন্মদিন উপলক্ষে নিজ বাড়ি কবিকুঞ্জে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। তবে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবি খালেক বিন জয়নুদ্দিন মারা যাওয়ায় জন্মদিনে কোনো আয়োজন করেননি তিনি।
কবি মফিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সাহিত্য চর্চা থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের সাহিত্য চর্চায় ফিরিয়ে আনতে হলে মোবাইল, ফেসবুক বাদ দিয়ে বইমুখী করতে হবে। ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/এমএস